রোজা, ঈদ এবং তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিনের লম্বা ছুটি শেষে ফের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণ। টানা ৩২ দিন পর তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই আজ রোববার খুলছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
শনিবার সকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, চলমান তাপদাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশুকল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত শিশুকল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো কর্তৃক পরিচালিত লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে।
২৭ দিন ধরে দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে চলতি মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখেছে দেশবাসী। তবে প্রচণ্ড গরমের কারণে বাচ্চাদের নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। সেজন্য রোদ ওঠার আগেই সন্তানকে পৌঁছে দিচ্ছেন স্কুলের আঙিনায়। একইসঙ্গে গরমে সুস্থ থাকতে দিচ্ছেন নানা উপদেশ। আবার তাপপ্রবাহে ক্লাসের বাইরে বের না হতে, মাঠে খেলাধুলা না করতে এমনকি বন্ধুদের সঙ্গে দৌড়াদৌড়ি না করার জন্যও সতর্ক করতে দেখা গেছে অনেককে।
রাজধানীর কিছু স্কুরের সামনে ঘুরে দেখা যায়, অভিভাবকরা তাদের সন্তান নিয়ে স্কুলে আসছেন। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সাড়ে ছয়টার দিকেই চলে এসেছেন অনেকে। আবার স্কুল গেটে পৌঁছে ভেতরে প্রবেশের আগেও গরমে বাইরে খেলাধুলা না করার জন্য সন্তানকে উপদেশ দিয়ে সতর্ক করছেন। সঙ্গে দিয়ে দিচ্ছেন পানি, জুস। কিছুসময় পরপর পানি পান করতেও বলে দিতে দেখা যায় অনেককে।
জাহিদ নামের এক অভিভাবক বলেন, ছোট বাচ্চারা এমনিতেই অসুস্থ হয় বেশি। গরমে বাসায় ফ্যানের নিচে সার্বক্ষণিক থাকলেও তারা অসুস্থ বোধ করে। স্কুল-কলেজ খোলা রাখলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয়টি চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন ছিল।
অপরদিকে তাপপ্রবাহে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে কয়েকটি দিক-নির্দেশনা দেয় মন্ত্রণালয়।
এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে।
দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোর ১ম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট পৌনে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে।
প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।