যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে বন্দুকধারীদের হামলায় তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের শার্লট শহরে বন্দুক হামলা আগ্নেয়াস্ত্র রাখার দায়ে এক ব্যক্তিকে আটক করতে হতাহত এসব পুলিশ কর্মকর্তা সেখানে গিয়েছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্র রাখার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়া এক অপরাধীকে ধরতে একটি বাড়িতে গিয়েছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। বাড়িটিতে প্রবেশের পরই এক ব্যক্তি তাদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকেন। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। এরপর স্পেশাল উইপনস অ্যান্ড ট্যাকটিকসের (সোয়াট) একটি দল সেখানে গিয়ে দুই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে নেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত একজন সন্দেহভাজন হামলাকারীকে একটি ব্যারিকেডেড বাড়ির সামনের উঠানে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। গোলাগুলি ও বন্দুক হামলার এই ঘটনা প্রায় তিন ঘণ্টা স্থায়ী ছিল।কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলায় দুই বন্দুকধারী জড়িত ছিল। আহত অফিসাররা ইউএস মার্শাল সার্ভিসের নেতৃত্বাধীন টাস্ক ফোর্সের অংশ।
বিবিসি বলছে, শার্লটের শহরতলীর রাস্তায় যখন বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয় তখন এসব পুলিশ কর্মকর্তা আগ্নেয়াস্ত্র রাখার দায়ে এক অপরাধীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছিলেন।
শার্লট-মেকলেনবার্গ পুলিশ প্রধান জনি জেনিংস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, অফিসাররা সামনের উঠানে একজন আততায়ীর দিকে গুলি চালায়, তারপর বাড়ির ভেতরে থেকে তাদের ওপর আরো গুলি চালানো হয়। সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে বাড়ির ভেতরে থাকা আরো দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে মার্কিন মার্শাল সার্ভিস এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে, অভিযানে তাদের একজন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
অবশ্য অভিযান ও অবরোধের সময় আশপাশের বেশ কয়েকটি স্কুল লকডাউনে রাখা হয়েছিল। আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছিল এবং অ্যাম্বুলেন্স আসা-যাওয়ার সুবিধার্থে কাছাকাছি রাস্তাগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।