সাম্প্রতিক আবহাওয়া তারতম্যে দেখা যায় গত সাত বছরে ঢাকার তাপমাত্রা অনেক বেড়েছে। ঢাকার চলমান তাপপ্রবাহ বিপর্যস্তের কারণ গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া। যার ফলে পরিবেশে তৈরি হয়েছে অত্যাধিক গরম।
এক পরিসংখ্যান বলছে, গত ৭ বছরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা মহাখালী এবং গুলিস্তান এলাকার।
বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) করা ২০১৭ ও ২০২৪ সালের ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকার তাপমাত্রার তারতম্যের মূল্যায়ন সম্পর্কিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭ সালে রাজধানীর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় গড় তাপমাত্রা ছিলো ৩৩.৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ২০২৪ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৩৬.৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে ২০১৭ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় গড় তাপমাত্রা ছিলো ৩৩.৩৯ ডিগ্রি। ২০২৪ সালে সেটি এসে দাঁড়িয়েছে ৩৭.৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়।
তাপমাত্রার এমন তারতম্য নিয়ে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র ও স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, যেখানে ২০১৭ সালেও গ্রীষ্মকালে ঢাকার তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রির নিচে ছিল সেটি এখন ৩৮ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি আমাদের অপরিকল্পিত নগরায়ণ, বাতাস সঞ্চালন না হওয়া, সবুজ নিধন হওয়ার ফলে প্রতিবছর ক্রমান্বয়ে ঢাকার তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে হলে যেসব ফ্যাক্টর দরকার আমরা সেসব নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছি। জলাধার এবং সবুজের উপস্থিতি সাধারণত কোনো এলাকাকে শীতল রাখে। কিন্তু আমাদের শহরের আয়তন অনুযায়ী সেই পরিমাণ জলাধার ও সবুজ নেই। অপরিকল্পিত বিল্ডিং গড়ে ওঠার কারণে বায়ুপ্রবাহ ঠিক নেই। এসব ঠিক থাকলে তাপমাত্রা কিছুটা সহনশীল পর্যায়ে থাকতো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।