তিনদিন পর নিভেছে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া এলাকায় লাগা আগুন। তবে আগুন পুরোপুরি নিভেছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আগুন লাগা স্থানকে আরও অন্তত তিন দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
সোমবার (৬ মে) সর্বশেষ ওপর থেকে ড্রোনের সাহায্যে ধোঁয়া শনাক্ত করে কয়েক জায়গা পানি ছিটানো হয়েছে। এদিন দুপুরের পর থেকে আর কোথাও আগুন দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মোহাম্মদ কাজী নুরুল করিম।
গত শনিবার (৪ মে) বিকেলে সুন্দরবনের আমরবুনিয়া এলাকায় আগুনের খবর পায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। এদিন সন্ধ্যা নামায় অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা শুরু করতে পারেনি বন বিভাগ। তবে আগুন যাতে আরও বিস্তৃত এলাকায় ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য প্রাথমিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
পরে রোববার (৫ মে) সকালে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বন বিভাগের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দূরের ভোলা নদীতে পানির পাইপ বসিয়ে আগুন নির্বাপন শুরু করে। দুপুরের দিকে বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার উপর থেকে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করে। দুপুর নাগাদ আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হওয়ার আগেই অন্ধকারে নির্বাপন কাজ বন্ধ রাখা হয়।
সোমবার বিকালে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা ড্রোন দিয়েও ওপর থেকে পরীক্ষা করে দেখেছি। দুপুরের দিকে দু একবার ধোঁয়া উড়তে দেখে সঙ্গে সঙ্গে ডিটেক্ট করে পানি ছেটানো হয়েছে। দুপুরের পর থেকে কোথাও আগুন দেখছি না আমরা। আপনারা জানেন আগুনটা গ্রাউন্ড ফায়ার, তুষের মত নিচে ছড়িয়ে যায়। তাই আমরা তিন দিন অবজার্বেশনে রাখব।
আগুনের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে যে এলাকায় আগুন লেগেছে সেখানে ম্যাক্সিমাম বলা গাছ। বলা গাছ হচ্ছে এক ধরনের জ্বালানি। আর কিছু সুন্দরী গাছ এখানে আছে। আগুন যেহেতু নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে আমরা পরে জানাতে পারব আসলে ক্ষয়ক্ষতি কি পরিমাণ হয়েছে। এখনো পুরোপুরি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে পারিনি। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিলে ক্ষতির পরিমাণ জানানো সম্ভব হবে।