আসতে শুরু করেছে উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন চলছে গণনা। ভোটগ্রহণের সময় কোথাও কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় পুলিশ ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া ময়মনসিংহে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ছুঁড়েছে।
এদিকে, কোন কোন উপজেলায় ভোটগণনা শেষ হয়ে গেছে। আসতে শুরু করেছে ফলাফল। এরমধ্যে নোয়াখালীর হাতিয়া, মুন্সীগঞ্জ সদর, বাগেরহাট সদর, ফেনীর পরশুরাম ও মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার সব পদের প্রার্থী বিনাভোটে বিজয়ী হন। অন্যদিকে উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ, মৃত্যুজনিত, প্রশাসনিক ও ধাপ পরিবর্তনের কারণে আটটি উপজেলার ভোটগ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
পাবনার সুজানগর উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোটরসাইকেল প্রতীকের আব্দুল ওহাব। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিনুজ্জামান শাহিন।
সাঁথিয়া উপজেলায় বেসরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মো. সোহেল রানা খোকন, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. আশরাফুজ্জামান টুটুল।
বান্দরবান সদর উপজেলায় মোটরসাইকেল প্রতীকে মো. আব্দুল কুদ্দুছ (বহিষ্কৃত জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের উপদেষ্টা) ১৯ হাজার ১৪৪ ভোট পেয়ে বেসরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আলীকদম উপজেলায় দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. জামাল উদ্দিন (আওয়ামী লীগ) ৯ হাজার ৪৭০ ভোট পেয়ে বেসরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।