প্রথম তিন ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ এই ম্যাচটি মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হবে আজ সন্ধ্যা ছয়টায়।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কড়া নাড়ছে দরজায় কড়া নাড়ছে। যে কারণে বেশ গুরুত্বের সাথেই এই সিরিজ খেলছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে সিরিজে সবচেয়ে বড় আলোচনায় দলের টপ অর্ডার। লিটন দাস-শান্তরা রান খরায় ভুগছেন।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য পেসার তাসকিন আহমেদ বলছিলেন, ‘ব্যাটিং বা বোলিং যেদিনই খারাপ হয় বাইরের সমর্থক বা বাইরের যারাই আছেন, সবার থেকে বেশি হতাশ কিন্তু আমরা হই। কারণ, দিন শেষে আমাদেরই খেলতে হয় এবং আমরা কিন্তু ধারাবাহিকভাবে কাজ করেই যাচ্ছি যে কীভাবে আমাদের ব্যাটিং-বোলিং আরও উন্নতি করা যায়।’
‘এটা আমরাও বুঝতে পারছি আমাদের চাহিদা অনুযায়ী শুরু হচ্ছে না এবং এটা নিয়ে কাজ হচ্ছে। আসলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা ছাড়া তো কোনো কিছু হাতে নেই। তো চেষ্টা করে যাচ্ছি, আমি আশা করি সামনে আরও ভালো কিছু হবে এবং ইনশাল্লাহ এ দুটা ম্যাচেও ভালো হবে।’- বলেন এই পেসার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ের পরেও কেন রান বেশি রান হচ্ছে না তা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। তবে তাসকিন বলছেন ভিন্ন কথা, ‘আসলে যত কথা হচ্ছে জিম্বাবুয়ে নিয়ে, আবার যদি একটা ম্যাচ হেরে যাই, তাহলে কিন্তু অন্য রকম কথা হবে যে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছি। ছোট দলের সঙ্গে জিতলে কৃতিত্বটা কম পাই। দুর্ভাগ্যজনক হলো, আমাদের অনেক রকম কথাই শুনতে হয়। কিন্তু যখন খেলতে নামি, প্রতিপক্ষ যে-ই হোক, সেরাটা দিয়েই চেষ্টা করি। হয়তো কখনো ভালো হয়, খারাপ হয়। উন্নতির ধারাটা রেখে সবাই বিশ্বকাপে ভালো করার চেষ্টা করছে।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলে আবার মিথ্যা আত্মবিশ্বাস যোগ হচ্ছে কিনা? এমন প্রশ্নে তাসকিন বলেন, ‘আসলে ফেইক (মিথ্যা) কনফিডেন্স নয়। ভালো করলে যেকোনো জায়গায়ই আত্মবিশ্বাস বাড়ে। হ্যাঁ, হয়তো আমরা জানি না যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশন কেমন হবে। ড্রপ ইন উইকেটে খেলা হতে পারে। আমাদের বেশির ভাগ খেলোয়াড়েরই যুক্তরাষ্ট্রে খেলার অভিজ্ঞতা কম। ওইভাবে মানিয়ে নিতে হবে।’