সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও বেড়েছে ডিমের দাম। ডজনপ্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু-পেঁয়াজসহ বাজারের প্রায় সব ধরনের সবজি।রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায় মাছ-মাংসের সঙ্গে বেড়েছে সবজির দামও।
মাছের বাজারে দামের উত্তাপ। আকারভেদে চাষের তেলাপিয়া ও পাঙাশ কিনতে হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। চাষের রুই মাছের দাম পড়ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি। ইলিশের বাজারের ঠিক নেই। এক কেজি আকারের ইলিশের দাম হাঁকানো হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। দেশি মাছের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। এক কেজি শোল ও মাগুর আকারে ছোট হলেও দাম চাওয়া হচ্ছে ৮০০ টাকা। মাঝারি আকারের বাইম ও বোয়ালের কেজি হাজার টাকার মতো।
মাছের মত বেড়েছে মাংসের দামও। গরমে মুরগি মরার প্রভাব পড়েছে বাজারে। সোনালি মুরগির দাম প্রতি কেজি ৪০০ টাকায় উঠেছে। কোথাও আরও ১০ টাকা বাড়তি। রোজার মধ্যেও যা প্রতি কেজি ৩৫০ টাকার আশপাশে ছিল। ব্রয়লার মুরগির কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। ঈদের পর নতুন করে ডিমের দাম ডজনে ২০ টাকা বেড়েছে। ফার্মের বাদামি রঙের ডিমের দাম প্রতি ডজন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। সাদা রঙের ডিম ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। খাসির মাংসের দাম ১০০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা।
এদিকে সবজির বাজারে লম্বা বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা, গোল বেগুন ৭০-৮০ টাকা, টমেটো ৬০-৭০, করলা ৮০-৯০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০-৮০ টাকা, ঢেরস ৪০-৫০ টাকা মান ও সাইজভেদে লাউ ৬০-৮০ টাকা, শশা ৫০-৬০, ছোট সাইজের মিষ্টি কুমড়া ১০০-১২০ টাকা, জালি ৫০-৬০ টাকা, পেপে ৪০-৫০, কাচা কলা ডজন ৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গেল সপ্তাহজুড়ে প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে। শাকের মধ্যে পাট শাক ১৫-২০, কলমি শাক ১০-১৫, পালং ১০-১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০-৪০, লাল শাক ১৫ টাকা, পুই শাক ৩০-৪০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে আলু ৫০-৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০-১৪০ টাকা, আমদানির পরেও খুচরা বাজারে কমেনি পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭৫ টাকা, রসুন ১৮০-২০০ টাকা, আদা ২০০-২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারভেদে দাম কিছুটা কমবেশি হচ্ছে।