মিরপুরে লম্বা সময় পর ফিরে ৫ রানের স্বস্তির জয় পেয়েছে টাইগাররা। কারণ, বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে সাদা বলের ক্রিকেট খেলেনি জাতীয় দল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথমবার দেখা গেল প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ এক ম্যাচ। ব্যাটারদের চরম ব্যর্থতার দিনে বোলারদের কল্যাণে সিরিজে টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান শেষ ওভারে সেই স্বস্তি এনে দেয়। সহজ ক্যাচ মিসের পর মনে হচ্ছিল ম্যাচটাও মিস হয়ে যাবে! কিন্তু তা হতে দেননি সাকিব।
বাংলাদেশের দেয়া ১৪৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং খুব একটা খারাপ হয়নি। তবে স্বাগতিক বোলাররাই বরং উপহার দিয়েছেন নিয়ন্ত্রিত বোলিং। তাসকিন-সাকিব-মুস্তাফিজদের আঁটসাঁট বোলিংয়ের সুবাদে কল্যাণে ১৩৮ রানে শেষ হয়েছে সফরকারীদের ইনিংস।
জিম্বাবুয়ে পাওয়ার প্লে শেষ করে ৩ উইকেটে ৩৮ রান তুলে। চাপ এড়িয়ে প্রয়াস থাকলেও তাদের চতুর্থ উইকেট জুটিকেও বড় হতে দেয়নি বাংলাদেশ। ইনিংসের দশম ওভারে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন ক্লাইভ মাদান্দে। ১৮ বলে ১ চারে তার রান ১২। ক্যাম্পবেলের সঙ্গে তার জুটি থামে ২৫ বলে ২৯ রানে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। অথচ তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকারের দুর্দান্ত উদ্বোধনী জুটিতে এসেছিল ৬৮ বলে ১০১ রান। এরপর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র ৪২ রানে পড়ে যায় ১০ উইকেট।
সিরিজে দ্বিতীয় ফিফটিতে ৩৭ বলে ৫২ রান করেন তানজিদ। আরেক ওপেনার সৌম্য করেন ৩৪ বলে ৪১ রান। আর কেউই উইকেটে থিতু হতে পারেননি।