আন্তর্জাতিক

জিম্মিরা মুক্তি পেলেই গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব : বাইডেন

মোহনা অনলাইন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন ,ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস যদি জিম্মি ইসরায়েলি নাগরিকদের মুক্ত করে দেয় তাহলে আগামী চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘হামাস যদি (আজ) সব জিম্মিকে ছেড়ে দেয়, তাহলে আগামীকালই গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব। ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি এখন পুরোটাই হামাসের ওপর নির্ভর করছে। যদি হামাস (আজ) জিম্মিদের ছেড়ে দেয়, তাহলে আজ থেকেই গাজায় ইসরায়েলি অভিযান বন্ধ করা হবে এবং আগামীকাল থেকে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে।’

এদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন বাইডেন। কিন্তু ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন সরকার তাতে কর্ণপাত না করে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে রাফায় অভিযান শুরু করে। এই নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে সম্প্রতি ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ পাঠানোয় স্থগিতাদেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

অন্যদিকে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে গত কয়েক দিন ধরে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়েছে ইসরায়েলে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাস যোদ্ধারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে। হামাসের অতর্কিত সেই হামলার জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং গোটা গাজা উপত্যকা কার্যত পরিণত হয়েছে ধ্বংস্তূপে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক প্রচেষ্টায় গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর গাজায় অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করেছিল হামাস এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। সে সময় ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি দেড়শ’ ফিলিস্তিনির বিপরীতে জিম্মিদের মধ্যে থেকে ১০৮ জনকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

বিরতির পর ফের পুর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শরু হয় হামাস ও আইডিএফের মধ্যে। এই যুদ্ধের তিন মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র গত কয়েক মাস ধরে বেশ কয়েক বার চেষ্টার পরও এখন পর্যন্ত গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতি আনতে সফল হতে পারেনি। তাই বাকি ১৩২ জন জিম্মির ভাগ্যে কী ঘটছে, বা তাদের মধ্যে কয়জন এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন— তা এখনও অজানা।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button