গোপালগঞ্জে চন্দ্রদিঘলিয়া বাজারে মঙ্গলবার রাতে নির্বাচন নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ওয়াসিকুর ভুইয়া নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে। এ সময় আরও দুজন গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। নিহত ওয়াসিকুর চন্দ্রদিঘিলিয়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক ওয়াসিকুর ভুইয়া চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের আব্দুল জলিল ভুইয়ার ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে চন্দ্রদিঘলিয়া বাজারে চা-সিগাটে খাওয়া নিয়ে বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূইয়া লুটুলের সমর্থক চয়ন ভূঁইয়া ও পরাজিত প্রার্থী বি এম লিয়াকত আলীর সমর্থক সবেদ আলী ভূঁইয়ার সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে গড়ায়। এ সময় পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক ওয়াসিকুরসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ এবং ১৫ জন আহত হন। রাত সোয়া ৯টাযর দিকে ওয়াসিকুরকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকায় এখনো টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় আবারো সংঘর্ষ বেধে যেতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
বাকি গুলিবিদ্ধরা হলেন চন্দ্র দিঘলিয়া গ্রামের ফরিদ ভুঁইয়ার ছেলে কলেজ শিক্ষার্থী লিওন ভূঁইয়া (২১) এবং একই গ্রামের কাসেম আলী ভূঁইয়ার ছেলে রজ্জব আলী ভূঁইয়াসহ (২৫) আরও দুজন। তাদেরকে প্রথমে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে লিওন ভূঁইয়াকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এবং রজ্জব আলী ভূঁইয়াকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।