Top Newsঅর্থনীতি

নতুন করে রিজার্ভ চুরির খবর মিথ্যা: বাংলাদেশ ব্যাংক

মোহনা অনলাইন

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে আবারও অর্থ চুরি হয়েছে বলে ভারতের একটি নিউজ পোর্টাল সংবাদ প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়, ভারতের হ্যাকাররা গত কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার চুরি করে নিয়ে গেছে। তবে ভারতীয় পোর্টালের সেই খবর নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তারা বলছে, নতুন করে কোনো রিজার্ভ চুরি হয়নি।

আজ মঙ্গলবার ভারতীয় গণমাধ্যম ‘নর্থইস্ট নিউজে’ রিজার্ভ চুরির বিষয়ে খবরটি প্রকাশিত হয়। এরপর মতিঝিলের ব্যাংকপাড়া, সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। অনেকে এ তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‌‘অজ্ঞাত পরিচয়ের সন্দেহভাজন ভারতীয় হ্যাকাররা ডিজিটাল উপায়ে প্রায় এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার চুরি করেছে। দুই দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো ‘চাঞ্চল্যকর’ এ চুরির বিষয়ে অবগত আছে এবং তারা নীরবে এ ঘটনার তদন্ত করছে।’

নতুন করে চুরির খবর এমন সময়ে প্রকাশিত হলো, যখন ধারাবাহিকভাবে রিজার্ভ কমায় চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালের আগস্টে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়ানো রিজার্ভ এখন নেমেছে ১৮ বিলিয়নে। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী, এখন প্রকৃত রিজার্ভ ১৩ বিলিয়ন ডলার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক সমকালকে বলেন, রিজার্ভ চুরির এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। যে অনলাইনে ঘটনাটি হয়েছে, আগেও তারা এমন চটকদার খবর দিয়েছে।

এর আগে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে (ফেড) রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে একটি মেসেজের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কায় একটি ‘ভুয়া’ এনজিওর নামে ২০ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে নেওয়া হলেও বানান ভুলের কারণে সন্দেহ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়।

বাকি চারটি মেসেজের মাধ্যমে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার সরিয়ে নেওয়া হয় ফিলিপিন্সের মাকাতি শহরে রিজল কর্মাশিয়াল ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখায় ‘ভুয়া তথ্য’ দিয়ে খোলা চারটি অ্যাকাউন্টে। অল্প সময়ের মধ্যে ওই অর্থ ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়া হয়। ফিলরেম মানি রেমিট্যান্স কোম্পানির মাধ্যমে স্থানীয় মুদ্রা পেসোর আকারে সেই অর্থ চলে যায় তিনটি ক্যাসিনোর কাছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, আট বছরে এই দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমে হ্যাকাররা ঢুকে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি করেছে।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button