টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রের পথে রওনা হলো শান্ত-তাসকিনরা। গতরাত ১টা ৪০ মিনিটের ফ্লাইটে দেশ ছাড়ে টাইগাররা। দলের সঙ্গে আছেন ট্রাভেলিং রিজার্ভ, টিম ম্যানেজমেন্ট ও কোচিং স্টাফের সদস্যরা। ১লা জুন থেকে শুরু হবে বিশ্বকাপ। তার আগে মার্কিনীদের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল।
আইসিসির মেগা আসরটিতে অংশ নেওয়ার আগে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বকাপের শেষ প্রস্তুতি হিসেবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ২১, ২৩ ও ২৫ মে হবে সিরিজের ম্যাচগুলো।
এদিকে, দেশ ছাড়ার আগে গতকাল রাত বাড়তেই বিমানবন্দরে পরিবারকে নিয়ে হাজির হন তাসকিন–সৌম্য ও লিটন দাসরা। যেখানে টাইগার সমর্থকদের ভিড়ের মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। এ সময় কেউ তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে সেলফির আবদার মিটিয়েছেন, আবার কেউবা শুভকামনা জানিয়েছেন বিশ্বকাপে ভালো পারফর্ম করার আশায়।
দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে জানান, ‘কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমরা আমেরিকায় বোধহয় আগে ম্যাচ খেলিনি। সেখানে খেলা সবার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। ঐখানকার কন্ডিশন ও আবহাওয়া, ভিন্ন টাইম জোন– সবকিছুর সঙ্গেই মানিয়ে নেওয়া জরুরী। আমরা সব ম্যাচই জিততে চাই। ওয়ার্ক লোডের কথা মাথায় রেখে মূল খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিতে হবে। শারীরিক ও মানসিক বিশ্রামের পাশাপাশি কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়ার দিকেই মূল মনোযোগ থাকবে।’
বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দেশ ছাড়ার আগে গনমাধ্যমকে বলেছেন ছোট ছোট পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাফল্য পেতে চান তিনি, ‘আমার মনে হয় আমি যে কথাটা বলেছিলাম তারপরেও বাংলাদেশের সবাই প্রত্যাশা করবেই। আমি নিজেও প্রত্যাশা করি এবং আমাদের প্রত্যেকটা খেলোয়াড় প্রত্যাশা করবে যে আমরা অনেক ভালো ক্রিকেট খেলব। আমরা যদি ছোট ছোট পরিকল্পনা নিয়ে আগাই যে আমরা কীভাবে গ্রুপ পর্ব পার করব তাহলে পরিকল্পনা করাটা সহজ হয়।’
উল্লেখ্য, ২ জুন বিশ্বকাপ আসর শুরু হলেও, বাংলাদেশের অভিযান শুরু হবে ৮ জুন থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে শান্তর দল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে। ১০ জুন বাংলাদেশ লড়বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। পরবর্তীতে ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস এবং ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপপর্ব শেষ করবে বাংলাদেশ।
এবারের পর আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে ২০২৬ সালে। ততদিন পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব আল হাসানের খেলা চালিয়ে যাওয়াটা কঠিন। তাই অনেকের মতে ৩৭ পেরুনো সাকিব ও ৩৮ পেরুনো মাহমুদউল্লাহর এটিই হয়তো শেষ বিশ্বকাপ।