বন্দুকধারীর হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো। বিবিসি জানিয়েছে, বুধবার মধ্যাঞ্চলের হ্যান্ডলোভাতে একটি বৈঠক শেষে বের হয়ে আসার সময় উপস্থিত জনতার মধ্য থেকে আততায়ী ফিকোকে লক্ষ্য করে লাগাতার গুলি ছুঁড়লে গুরুতর আহত হন ফিকো। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে পুলিশ আটক করেছে বলে স্লোভাকিয়ার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জুজানা কাপুতোভা জানিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এই ভয়াবহ ও জঘন্য হামলায় আমি ও আমরা সবাই মর্মাহত।’
এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গুলিবিদ্ধ ফিকোকে তুলে নিয়ে একটি কালো গাড়িতে ওঠাচ্ছেন। পরে গাড়িটি দ্রুতগতিতে চলে যায়। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে একজনকে হাতকড়া পরায় পুলিশ।
রবার্ট ফিকোকে গুলিবর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন কারও নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে তাঁকে ৭১ বছর বয়সী একজন লেখক হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়েছে। সন্দেহভাজন ওই লেখকের ছেলে স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘বাবা কী চিন্তা করছিলেন, তিনি কী পরিকল্পনা করেছিলেন এবং কেন এটা ঘটল, সেসব বিষয়ে সত্যিকারে আমার কোনো ধারণা নেই।’
এ হামলার নিন্দা জানিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, এই বর্বরোচিত অপরাধের পক্ষে কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। রবার্ট ফিকোকে একজন সাহসী এবং শক্ত মানুষের মানুষ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি।