বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সহকারী প্রেসসচিব বেদান্ত প্যাটেল এ তথ্য জানিয়েছেন।
দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি মিথ্যা। যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না। র্যাবের আচরণ পরিবর্তন ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।’
গেল মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি মার্কিন বিচার বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এটি হোয়াইট হাউস এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট (পররাষ্ট্র দপ্তর) থেকে স্বাধীন ও পৃথক। তারা স্বাধীনভাবে কাজ করে।’
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘হোয়াইট হাউস ও পররাষ্ট্র দপ্তর র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পক্ষে, তবে তা বিচার বিভাগের ওপর নির্ভর করছে।’
গত সপ্তাহে তিন দিনের ঢাকা সফরে আসা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে নৈশভোজের পর সালমান এফ রহমান বলেন, বিষয়টি একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ডোনাল্ড লু দায়িত্ব পালনের সময় ‘মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোয় র্যাবের অসাধারণ অগ্রগতির’ প্রশংসা করেছিলেন। সে সময় তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, র্যাবের বিষয়ে আমাদের মধ্যে বেশ আলোচনা হয়েছে। আপনারা যদি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতি দেখে থাকেন, তারা স্বীকৃতি দিয়েছে এবং আমরা র্যাবের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হ্রাসের ক্ষেত্রে অসাধারণ অগ্রগতির স্বীকৃতি দিয়েছি।
ওই সময় লু আরও বলেন, যা দারুণ কাজ। এতে বুঝা যায়, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখিয়ে র্যাব সন্ত্রাসবিরোধী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম।