বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের (২০২৪-২৬) ফলাফল বাতিল এবং নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিএফডিসিতে সমিতির নানা বিষয় ও নিপুণের ইস্যু নিয়ে বিকেল ৪ টায় মিটিং ডাকা হয়।
দীর্ঘ সময়ের মিটিং শেষে সমিতির পক্ষে সংবাদমাধ্যমে প্রথমে কথা বলেন ডি এ তায়েব।
এ সময় তিনি বলেন, নিপুণের রিটের বিষয়টি কোনোভাবেই সহজ করে নেয়ার উপায় নেই। আমরা অ্যাকশনে যাব। কারণ এ রিটের মাধ্যমে শুধু সাধারণ সম্পাদককেই খাটো করা হয়নি, খাটো করা হয়েছে নির্বাচন কমিশন এবং আপিল বোর্ডকে।
ডি এ তায়েব বলেন, সবচেয়ে বড় কথা যে রিট করেছেন তিনি দেশেই নেই। তবে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে নিপুণ স্বীকার করেছেন যে তিনিই নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে রিট করেছেন। তাই অবিলম্বে তার কাছে সদস্যপদ হারানোর তথ্য জানিয়ে চিঠি পাঠানো হবে। প্রয়োজনে দেশর বাইরে থাকায় তার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হবে। সদস্যপদ না হারানোর কারণ ব্যাখ্যারও সুযোগ দেয়া হবে তাকে।
তিনি বলেন, এ রিটের মাধ্যমে সমিতির সব সদস্যকেই সন্দেহের চোখে রাখা হয়েছে। তাই সমিতির সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে শিল্পী সমিতি নিয়ে যে নিষ্ঠুর কথাবার্তা বলা হয়েছে সে বিষয়ে শিগগিরই তাকে শোকজ করে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। সন্তুষ্টজনক উত্তর না পেলে ৭ দিনের মধ্যেই তার সদস্যপদ বাতিল করে দেয়া হবে।
একই বিষয়ে অভিনেতা সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, প্রথম চিঠি আমরা সাত দিনের মধ্যেই পাঠাব। ওই চিঠির উত্তর না পেলে সমিতির পক্ষ হতে দ্বিতীয় চিঠি পাঠানো হবে পাঁচ দিনের মধ্যে। দ্বিতীয় চিঠিরও উত্তর না পেলে তিন দিনের মধ্যে আরও একটি চিঠি পাঠানো হবে। উত্তরে যদি সন্তুষ্টজনক তথ্য পাওয়া যায়, তবে তাকে সঙ্গে নিয়েই সমিতির সব কার্যক্রম সামনের দিকে এগোতে থাকবে। আর যদি উত্তরে সন্তুষ্টজনক তথ্য না পাওয়া যায়, তবে সমিতি থেকে নিপুণকে বহিষ্কার করতে আমরা বাধ্য হবো।