দুদিনের সফরে আগামী মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলগত জোট বা কোয়াডের গুরত্বপূর্ণ সদস্য দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফরে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দেবেন। পাশাপাশি পেনি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা ইস্যুতে জোর দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঢাকা-ক্যানবেরার কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, আগামী ২১-২২ মে ঢাকা সফর করবেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটি অস্ট্রেলিয়া সরকারের তরফ থেকে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সফর হতে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন পর অস্ট্রেলিয়ার কোনও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পূর্ণাঙ্গ দ্বিপক্ষীয় সফরও হবে এটি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া গ্রুপের ডেপুটি সেক্রেটারি এবং পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিভাগের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অফিসের প্রধান মিশেল চ্যানসহ একটি ছোট প্রতিনিধি দল।
রোহিঙ্গা শিবিরের পরিস্থিতি দেখতে সেখানে যাওয়ার কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের চূড়ান্ত প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী রোহিঙ্গা ইস্যুকে আলোচনায় রাখতে অস্ট্রেলিয়ার সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।
রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার এবং তাদের প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে তৎকালীন অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরিস পেন অর্থনীতিবিষয়ক একটি বহুপক্ষীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন, তবে সেটি দ্বিপক্ষীয় সফর ছিল না। কিন্তু ওই সময় থেকেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের রূপান্তর শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা আসছেন।