গতকাল মধ্যরাতে উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের প্রচারণা শেষ হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার ১৫৬টি উপজেলার ভোটে প্রতিনিধি বাছাইয়ে মত দেবেন তিন কোটি ৫২ লাখের বেশি ভোটার।
এদিন সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। ভোট উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এ নির্বাচন সফল করতে আগামীকাল নির্বাচনভুক্ত উপজেলাগুলোতে ঘোষণা করা হয়েছে সাধারণ ছুটি। আর নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৪৫৭ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা (মিডিয়া) মো. শরীফুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
গত ১ এপ্রিল দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। তফসিল অনুযায়ী ৩০ এপ্রিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময় শেষে চূড়ান্ত হয় এক হাজার ৮২৪ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন ৫২৮ জন। ১ মে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন প্রার্থীরা।
এই ধাপের ভোটে প্রচার-প্রচারণার সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রায় ৬০০টি ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ছাড়া প্রচারণায় নেমে সংঘাত, হুমকি এবং প্রার্থীর পক্ষে জনপ্রতিনিধিদের প্রভাব বিস্তারের অভিযোগও রয়েছে।ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, ছয় শর কাছাকাছি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এসেছে। তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে এসব ঘটনায় জরিমানা ও কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
আগামীকাল ১০টি অঞ্চলের অধীনে মোট ১৩ হাজার ১৬টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ধাপের ভোট। এর মধ্যে ২৪টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। বাকিগুলোতে ভোট হবে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে। দুর্গম ও উপকূলীয় অঞ্চল বিবেচনায় ৩০টি উপজেলার ৬৯৭ কেন্দ্রে ব্যালট পাঠানো হবে আজ। বাকি ১২ হাজার ৩২৩ কেন্দ্রে ব্যালট পৌঁছাবে ভোটের আগে আগামীকাল সকালে।
অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আচরণবিধি প্রতিপালনের লক্ষ্যে এরই মধ্যে ১৫৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
ইসি আলমগীর বলেন, ‘আমরা আশা করি, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। ছোটখাটো যেসব সমস্যা মাঠে আছে সেগুলো যাতে না হয়, সে জন্য আমরা প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছি। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের নির্বাচনের চেয়েও সুষ্ঠু হবে।’ আলমগীর বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসন ভোটের পরে ৪৮ ঘণ্টা থাকে। সে সময়ের মধ্যে তো কিছু হয়নি। ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারেন, তবে কত ভোট পড়বে তা বলা কঠিন। সেটা বলা যাবে না। যেহেতু সব দল অংশ নিচ্ছে না, তাই ভোটের হার নিয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না।’