রাজধানীতে লক্কর-ঝক্কর ও ভাঙ্গাচোরা বাস দৃষ্টিনন্দন করতে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে মালিকদের ৪০ দিন সময় দিয়েছে বিআরটিএ। ঢাকার রাস্তায় এসব লক্কর-ঝক্কর বাস চলাচল করায় বিদেশে বাংলাদেশের মর্যাদা নষ্ট হচ্ছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। আগামী ১ জুলাই থেকে লক্কর- ঝক্কর বাসের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে বিআরটিএ।
সম্প্রতি বিআরটিএ এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। ঢাকার রাস্তায় এসব লক্কর-ঝক্কর বাস চলাচল করায় বিদেশে বাংলাদেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলেও বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করা হয়।
ঢাকাসহ দেশের মহাসড়কগুলোতে লক্কর-ঝক্কর, রংচটা, লাইট ভাঙ্গা, সিট ভাঙ্গা মোটরযান চলাচলের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। ফলে ঢাকা মহানগরে চলাচলরত গণপরিবহনের সৌন্দর্যের ওপর নগরের সৌন্দর্য ও দেশের ভাবমূর্তি নির্ভর করে। সড়ক দুর্ঘটনা পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষ্যে এ ধরণের ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধ করা প্রয়োজন।
এদিকে ঢাকার সড়কে চলাচলকারী বাসগুলো দেখলে নিজের কাছেই লজ্জা লাগে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
গতকাল রোববার (১৯ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ব্র্যান্ডিং সেমিনার অন ঢাকা মেট্রোরেল’অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে আরও বলেন, ‘জরাজীর্ণ বাস চলাচল নিয়ে আমরা মিটিং করে বিআরটিএর সঙ্গে কথা বলেও সমাধান করতে পারিনি। রাস্তাঘাটে বাসগুলো দেখলে ভীষণ খারাপ লাগে।’ এসময় ওবায়দুল কাদের বাস মালিকদের কাছে জানতে চান, ‘মেট্রোরেল থেকে নেমে গরিব, জীর্ণশীর্ণ বাস দেখতে কেমন লাগে? বাসের মালিকরা কি লজ্জা পায় না? তারা কি বিদেশে যান না? তারা সেখানকার বাসগুলো দেখেন না?
তাই বিআরটিএর গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মোটরযান চালক, যাত্রী, পথচারীসহ সব অংশীজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামী জুনের মধ্যে সব ত্রুটিপূর্ণ মোটরযানকে ত্রুটিমুক্ত ও দৃষ্টিনন্দন করতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। আগামী ১ জুলাই থেকে ত্রুটিপূর্ণ মোটরযানের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।