ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। মঙ্গলবার (২১ মে) দেশের ১৫৬ উপজেলায় সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোট চলবে টানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ইতোমধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।
এই ধাপে ২৪ উপজেলায় ইভিএমে ভোট হবে। বাকিগুলো হবে ব্যালটে। উপজেলা নির্বাচনের এই ধাপে এরই মধ্যে ২২ জন একক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সাতজন চেয়ারম্যান, আটজন ভাইস চেয়ারম্যান ও সাত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন।
ইসি জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে এক হাজার ৮২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৬৯৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫২৮ জন। এ নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন ৩ কোটি ৫২ লাখ। ভোটারদের মধ্যে এক কোটি ৭৯ লাখ ৫ হাজার পুরুষ এবং এক কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার নারী ভোটার। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৩ হাজার ১৬টি ও ভোটকক্ষ ৯১ হাজার ৫৮৯টি।
গতকাল রাত ১২টা থেকে আজ রাত ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ট্রাক, লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত নৌকা (নির্দিষ্ট রুটে চলাচলকারী ছাড়া) অন্যান্য যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইসি। তা ছাড়া সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ভোট গ্রহণের দু’দিন আগে থেকে ভোট গ্রহণের পরদিন মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র বিবেচনায় পর্যাপ্ত এবং কোথাও অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের সুপারিশ করেছে ইসি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠিও পাঠানো হয়েছে। সে হিসাবে সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮-১৯ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া দুর্গম এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০-২১ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো উপজেলা নির্বাচন বর্জন করছে। তাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক বরাদ্দ না দিয়ে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু স্থানীয় এমপি ও মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অনেক অভিযোগ মিলেছে। ফলে প্রথম ধাপের মতোই এই ধাপের ভোটেও ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই ভোটে মোট ভোট পড়েছিল মাত্র ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। তাই দ্বিতীয় ধাপের ভোটে কেন্দ্রে পর্যাপ্ত ভোটার উপস্থিতি হবে বলে প্রত্যাশা করছে ইসি। সেজন্য কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি বাড়াতে এবং নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠু করতে সব ধরনের প্রস্তুতিও নিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।