ঘূর্ণিঝড় রিমাল স্থলভাগে ওঠার পর দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত আবহাওয়ার ১৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কয়রা, খুলনায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপ হিসেবে বর্তমানে যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ আরও জানান, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে আগামীকাল (মঙ্গলবার) পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে এবং সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
জলোচ্ছ্বাসের কারণে উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকায় বেরিবাঁধ ভেঙে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। উপকূলীয় জেলাগুলোতে জলোচ্ছ্বাসের কারণে বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে। সরকারি হিসেবে ৮ লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিলেও আরও কয়ে লাখ মানুষ সহায় সম্বল নিয়ে মানবেতর অবস্থায় আছেন। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপকূলের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২৬ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ঝোড়ো বাতাসে গাছ পড়ে দুর্ঘটনা এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ।