ইদ্রিস আলীর ছেলে প্রতিনিধি নাঈমুজ্জামান নাঈম এবং তার পুরো পরিবার বহুদিন যাবৎ বিভিন্নভাবে তার পরিবারের সঙ্গে নির্যাতন নিপীড়ন ও চাঁদাবাজি করে আসছে, এমন অভিযোগ করেছেন কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার চারারবনে বেতিয়ারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহফুজা আক্তার। মোহনা টেলিভিশনকে তিনি জানান, অভিযুক্ত নাঈমুজ্জামান নাঈম দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় কুলিয়ারচর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন।
ভুক্তভোগী মোহনা টেলিভিশনকে আরো জানায়, ২০১১ সালে মাহফুজা আক্তারের বাবা কুলিয়ারচর উপজেলার চারারবনে জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। যার অংশ তিনি কিনেছেন তার ভাই ইদ্রিস আলী ও তার ছেলে নাঈমুজ্জামান নাঈম এর থেকে। এরপর থেকে পুরো পরিবার মিলে বিভিন্নভাবে তাদের নির্যাতন নিপীড়ন ও চাঁদাবাজি করে আসছে। তাদের এই কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্য- মাহফুজা আক্তারের বাড়ি থেকে তাদেরকে উচ্ছেদ করে নিজেরা অন্যায়ভাবে সেই বাড়ির দখল করে নেয়া। এই নির্যাতনের প্রতিকার হিসেবে তার পরিবার সমাজপতিদের দ্বারস্থ হলে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায় বহুগুণ।
ভুক্তভাগী মাহফুজা আক্তার জানায়, সর্বশেষ ১৬ মে দিবাগত রাত ১ টায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ইদ্রিস আলী-নাঈমুজ্জামান গং তাদের বাড়িতে হামলা করলে ইমার্জেন্সি নাম্বারে কল দিয়ে তারা রক্ষা পান।
এই ঘটনার সূত্র ধরে গত ২৩ মে ২০২৪ বিকেল ৪.৩০- ৫ টার সময় মাহফুজা স্কুল থেকে ফেরার সময় বাড়িতে আসার একমাত্র পথটিতে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ইদ্রিস-নাঈমুজ্জামান গং তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে। তাদের উপর্যুপরি আঘাতে মাহফুজা আক্তারের নাক মুখ দিয়ে রক্তপাত হয় এবং গুরুতর আহত হন।
তিনি আরও জানায়, ’আমার দুই ভাই শাবিপ্রবিতে পড়ে তাই বছরের বেশিরভাগ সময় তারা সিলেটে থাকে। বাবা ব্যাংকার তাই সারাদিন অফিসে থাকেন। পুরুষ শূন্য বাড়ি পেয়ে তাদের ওপর বহুভাবে নির্যাতন চালানো হচ্ছে।