উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ৮৭টি উপজেলায় আজ বুধবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ২২টি উপজেলায় ভোট স্থগিত রয়েছে।
ভোটের সার্বিক প্রস্তুতি থাকলেও এই ধাপেও ভোটার উপস্থিতি নিয়ে দোলাচল রয়েছে। এর আগে ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট পড়ার হার ছিল ৩৬ শতাংশ, যা গত দেড় দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন ভোটের হার।
আর ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোট পড়ার হার ছিল ৩৭.৫৭ শতাংশ।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। এর মধ্যে ১৬ উপজেলায় ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে)। ভোট সামনে রেখে এসব উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
ভোট স্থগিত ২২ উপজেলায়
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপকূলীয় ১৮টি, নদী এলাকায় দুটি এবং পার্বত্য ও ভাটি অঞ্চলে একটি করে মোট ২২ উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এসব উপজেলায় আজ ভোট হওয়ার কথা ছিল। ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের পানি প্রবেশ করায়, যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এসব উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়েছে।
এর মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলে বাগেরহাটের শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মোংলা; খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া; বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া; পটুয়াখালীর সদর, দুমকী ও মির্জাগঞ্জ; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া; ভোলার তজুমদ্দিন ও লালমোহন; ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া; বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটায় জলোচ্ছ্বাসের পানি প্রবেশ করে জলাবদ্ধতা ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ভোট স্থগিত করা হয়েছে।
যোগাযোগব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ায় স্থগিত করা হয়েছে পার্বত্য অঞ্চল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার ভোট।
এ ছাড়া নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলায় সড়ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং চাঁদপুরের কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ইভিএমের বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।