বাংলাদেশের বাণিজ্যিক স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণের পর দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট মহাকাশে কবে যাবে, এ নিয়ে নতুন আভাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১-এর ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।
রোববার (২ জুন) সকালে গণভবনে ‘আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক ভিডিও চিত্র তৈরি প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন প্রযুক্তির যুগ। আমরা যখন ৯৬ সালে ক্ষমতা এলাম তখন কম্পিউটার শিক্ষার ওপর জোর দিলাম। তখন সব ছিল অ্যানালগ। দ্বিতীয়বার আমরা ক্ষমতায় এসে ঘোষণা দিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ করব। এখন আমাদের স্যাটেলাইট আছে। একটা স্যাটেলাইটের বয়স থাকে ১৫ বছর। আমরা এখন দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন প্রযুক্তির যুগ। আমরা যখন ৯৬ সালে ক্ষমতা এলাম তখন কম্পিউটার শিক্ষার ওপর জোর দিলাম। তখন সব ছিল অ্যানালগ। দ্বিতীয়বার আমরা ক্ষমতায় এসে ঘোষণা দিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ করব। এখন আমাদের স্যাটেলাইট আছে। একটা স্যাটেলাইটের বয়স থাকে ১৫ বছর। আমরা এখন দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
‘যদিও আমি শুনি অনেকে বলে স্যাটেলাইটের কী দরকার ছিল। আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে, যাদের সবকিছুতে কিছু ভালো লাগে না। যেটাই করব বলে এটা কী দরকার ছিল। মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে এটার কী দরকার, খামাখা পয়সা নষ্ট। এরকম নেতিবাচক মনোভাব নিয়েই তারা চলে। আবার যখন তৈরি করি তখন খুব মজা করে ব্যবহার করে,’ বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ভিক্ষুক জাতির কোনো ইজ্জত থাকে না। ১৯৭৫ এর পর আমরা ভিক্ষুক জাতিতে পরিণত হয়েছিলাম। বিদেশে যখন যেতাম, বাংলাদেশ শুনলে বলতো- তোমাদের ওখানে তো দুর্ভিক্ষ হয়, ঝড় হয়, জলোচ্ছ্বাস হয়, বন্যা হয়। খুব করুণার পাত্র।’
তিনি আরও বলেন, ‘এয়ার এমিরেটসে উঠলে দেখতাম বাচ্চাদের জন্য চাঁদা তোলা হতো, সেখানে বাংলাদেশের নাম আছে। আমার আত্মমর্যাদায় লাগলো। আমি সরকারে আসার পর বললাম এই জিনিসটা যেন না থাকে। আমরা আসার পর খাদ্য নিরাপত্তা, লেখাপড়া নিশ্চিত করেছি। আমরা বলেছি আমরা কারও কাছে হাত পাতবো না।’