বিরাজমান রাজনৈতিক বৈরিতা নিয়ে সামনে আগানো কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তা পরিহার করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে।
রোববার (২ জুন) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বর্তমান ইসির অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। ভোটের আগে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলাপ-আলোচনার তাগিদ এলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। গত ৭ জানুয়ারির ভোটে বিএনপি ও সমমনা দলসহ ১৬টি অংশ অংশ নেয়নি। আওয়ামী লীগসহ ২৮টি দল ভোটে ছিল।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন কমিশন, তথা ব্যক্তির ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে। টিআইবির প্রতিনিধি দলও বলেছে, আনুপাতিক হারে সংসদে প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে। যেটা বর্তমানে আমাদের সংসদে নারী আসনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আছে। আমরা বলেছি, এগুলো নিয়ে আপানারা (টিআইবি) গবেষণা করতে পারেন। আমরা মনে করি, জাতীয় নির্বাচনটা যদি ধাপে ধাপে করা যায়, তাহলে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা অনেক সহজ হয়ে যাবে। ভোটকেন্দ্রে অধিক সংখ্যক ফোর্স মোতায়েন সহজ হবে। মনিটরিংটা সহজ হবে।
নির্বাচন ভবনে বৈঠক শেষে সিইসি জানান, ইসির অত্যন্ত সক্ষমতা রয়েছে এমন নয়, ইসি একা কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারের সদিচ্ছার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা দরকার। সেইসঙ্গে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদেরকেও ভূমিকা পালন করতে হবে বলে উল্লেখ করেন সিইসি।
এর আগে, বেলা সাড়ে এগারোটায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাকক্ষে (কক্ষ নং ৩১৪) নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে বসে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর একটি প্রতিনিধি দল।
এতে টিআইবির পক্ষ থেকে নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানসহ মোট পাঁচজন অংশ নেন। আর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.), নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম অংশ নিয়েছেন।