চতুর্থ ধাপে ৬০টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। বুধবার (৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। আগের তিন ধাপের মতো এই ধাপেও ভোটার উপস্থিতি কতটা হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
এবার মোট চার ধাপে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে তৃতীয় ধাপে ২২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল। এর মধ্যে দুটি উপজেলার ভোট হচ্ছে আজ চতুর্থ ধাপে। আর বাকি ২০টি উপজেলায় ভোট হবে ৯ জুন।
উপজেলাগুলোতে ভোট উপলক্ষ্যে এদিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, চতুর্থ ধাপে ৬০টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট প্রার্থী ৭২১ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ২৫১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬৫ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০৫ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ৫ হাজার ১৪৪টি। এই ৬০ উপজেলায় মোট ভোটার ১ কোটি ৪৩ লাখ ৫৭ হাজার ৮২০ জন।
নির্বাচন উপলক্ষ্যে গত মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ট্রাক, লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত বোট (নির্দিষ্ট রুটে চলাচলকারী ব্যতীত) অন্যান্য যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইসি। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণের দুদিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের পরদিন মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, ভোট কেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভোটদানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ৬৭ হাজার ৭০৭ জন সদস্য মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।
প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ। দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোটের হার সামান্য বেড়েছিল, ৩৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর তৃতীয় ধাপে ৮৭ উপজেলায় ভোট পড়েছিল ৩৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। গত দেড় দশকে এবারই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের হার সবচেয়ে কম।