১৮তম লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি। তাদের লক্ষ্য ছিল ৪০০ আসন কিন্তু ফল ঘোষণার পর দেখা গেছে, তারা সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২টি আসনই এককভাবে জিততে পারেনি। এদিকে, প্রাথমিকভাবে পিছিয়ে থাকলেও এখনই সরকার গঠনের আশা ছাড়ছে না কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট।
সব মিলিয়ে ভারতের নির্বাচনকে ঘিরে চমক যেন শেষ হচ্ছে না। সরকার গঠন করবে কোন দল, তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা যেন শেষ হতেই চায় না। বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার কারণে সরকার গঠন করতে হলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জোটের সমর্থন নিতে হবে।
এ অবস্থায় সরকার গঠন করার ক্ষেত্রে আলো নিভে যায়নি ইন্ডিয়া জোটের। সবার চোখ গিয়ে ঠেকেছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের জনতা দলের (জেডি-ইউ) ওপর। ১২টি আসন নিয়ে নীতিশ কুমার যদি এনডিএ থেকে নিজের অবস্থানের পরিবর্তন করেন, তাহলে নরেন্দ্র মোদির জন্য সরকার গঠন করা শুধু কঠিনই নয়, অসম্ভবও বটে। শুধু নীতিশ কুমারের দলের ওপর নয়, নরেন্দ্র মোদি নির্ভর করে আছেন, তেজস্বী যাদবের রাজনৈতিক দল তেলেঙ্গনা দেশমের ওপরেও। তেলেঙ্গনা দেশম লোকসভায় ১৬টি আসন দখল করে আছে।
দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় মেতেছে ইন্ডিয়া ও এনডিএ জোট। আজ দিল্লিতে আলোচনার পর বোঝা যাবে তারা কোথায় ভিড়ছেন। যদিও গতকাল ভোট গণনার পর তেজস্বী যাদব এনডিএতে থাকবেন বলেই জানিয়েছেন। নীতিশ কুমারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও জেডিইউ নেতা কে সি ত্যাগী গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানান, তারা এনডিএ’তে থাকবে এবং ইন্ডিয়া জোটে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই। তেলেঙ্গনা দেশম পার্টির আরেক নেতা শ্রী নাইডু অন্ধ্রপ্রদেশে এনডিএ’র দুর্দান্ত সফলতার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, তেলেঙ্গনা দেশম পার্টি ও বিজেপি একসঙ্গে সরকার গঠন করবে।
সন্ধ্যার পর হয়ত তা জানা যাবে গতিপথ কোন দিকে মোড় নেয়। তবে, নরেন্দ্র মোদি তার ভোট গণনার পর এই জয় জনগণের জয় বলে দারিদ্র্য ও দুর্নীতি রোধ করার যে আশার বাণী শুনিয়েছেন, নীতীশ কুমার কিংবা তেজস্বী যাদবের অবস্থান পরিবর্তনে সে সম্ভবনা হারিয়ে যেতে পারে।