দেশের পপ ও ব্যান্ড সংগীতের পথিকৃৎ আজম খানের প্রয়াণ দিবস আজ। দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে ২০১১ সালের আজকের দিনে মারা যান এই কিংবদন্তি। পপগুরু আজম খানের প্রয়াণের ১৩ বছর পূর্ণ হলো।
১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আজিমপুর সরকারি কলোনিতে জন্মগ্রহণ করেন আজম খান। শৈশবের ৫ বছর সেখানেই কাটিয়েছেন তিনি। ৫ বছর বয়সে ঢাকেশ্বরী স্কুলে ভর্তি হন। পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে টিঅ্যান্ডটি কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে এইচএসসি পাস করেন আজম খান।
এরপর সপরিবারে কমলাপুরের বাড়িতে চলে যান। ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের সময়েই সোচ্চার হয়ে ওঠেন আজম খান। সে সময়ের ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য হিসেবে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণসংগীত প্রচারে অংশ নেন তিনি। দলটির সঙ্গে ঘুরে ঘুরে গানও করেছেন। বরাবরই দেশের মানুষের কল্যাণে গান গেয়ে গেছেন এই পপগুরু।
১৯৭১ সালে পাক হানাদারের বিরুদ্ধে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন আজম খান। কুমিল্লা ও ঢাকার আশপাশে সেকশন কমান্ডার হিসেবে অনেকগুলো গেরিলা আক্রমণে অংশ নেন এই গায়ক। ১৯৭২ সালে ‘উচ্চারণ’ নামের একটি ব্যান্ডদল গঠন করেছিলেন আজম খান। ‘গডফাদার’ [২০০৩] নামের একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদক দেওয়া হয়।