জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে নেত্রকোনায় সোয়াট-এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের অভিযান
মোহনা অনলাইন
গতকাল শনিবার নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের ভাসাপাড়া এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়ি ঘিরে রেখেছিল পুলিশ। আজ রোববার (৯ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের একটি দল ঘটনাস্থলে প্রবেশ করে।
পাশাপাশি এসেছে একটি বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, বিশেষ অস্ত্র ও কৌশল (সোয়াট), সাইবার টিমসহ বেশ কয়েকটি বিশেষ টিম। পুলিশের বিশেষ ইউনিটগুলো এখন ওই বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে। তল্লাশির পর তারা বিস্তারিত জানাবেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে।
শনিবার বেলা ১টার পর থেকে চারদিকে উঁচু প্রাচীরঘেরা দ্বিতল বাড়িটির চারপাশে অবস্থান নেয় পুলিশের একটি দল। তাদের ধারণা, ওই বাড়িতে জঙ্গি প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা অস্ত্র ও বোমা থাকতে পারে। এরই মধ্যে কিছু সরঞ্জাম উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজনের বরাতে জানা যায়, ভাসাপাড়া এলাকার ওই বাড়ি আটপাড়া উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের আবদুল মান্নান নামে এক ব্যক্তি প্রায় ২০ বছর আগে নির্মাণ করেন। আবদুল মান্নান পেশায় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) শিক্ষক। তিনি সেখানে একটি কলেজ স্থাপন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। দুই বছর আগে বাড়িটি তিনি এক ব্যক্তির কাছে ভাড়া দেন।
স্থানীয় লোকজন জানায়, ভাড়া দেওয়ার পর ভাড়াটিয়া বাড়ির সীমানা প্রাচীর আরও উঁচু করেন। এরপর নারকেলগাছ, আমগাছ ধরে সীমানা প্রাচীরে প্রায় ২০টির মতো সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। বাড়িটির ভেতরে দুটি পুকুর রয়েছে। ওই বাড়িতে স্থানীয় কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয় না।
এদিকে গতকাল ওই বাড়িটিতে অভিযানের পর শনিবার রাত ১০টার দিকে পুলিশ জানায় শহরের বনুয়াপাড়া এলাকায় আরেকটি বাড়ি ঘিরে রাখে পুলিশ। রাতে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পুলিশের কয়েকজন সদস্য ও ডিবির কয়েকজন সদস্য ওই বাড়িটি নজরদারিতে রেখেছেন। নেত্রকোণা জেলা পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ বলেন, গতকাল দুপুর থেকে ভাসাপাড়া এলাকার যে বাড়িটি পুলিশ ঘিরে রেখেছে সেটি তল্লাশির পর শহরের বনুয়াপাড়া এলাকার বাড়িটিতে তল্লাশি চালানো হবে।
এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার সানোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের টিম ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে। তল্লাশি শেষ হওয়ার পর আপনাদেরকে বিস্তারিত জানানো হবে। তবে প্রাথমিক অভিযানে আমরা বিস্ফোরক থাকার আলামত পেয়েছি।