ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় অভিযান চালিয়ে চার জিম্মিকে জীবিত উদ্ধারের দাবি করেছে ইসরায়েল। যে এলাকা থেকে এদের উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে ইসরায়েলি বিমান হামলায় দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে হামাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
উদ্ধার হওয়া জিম্মিরা হলেন—নোয়া আরগামানি (২৬), আলমোগ মেইর জান (২২), আন্দ্রেই কোজলভ (২৭) ও শ্লোমি জিভ (৪১)। গতকাল শনিবার (৮ জুন) তাদের মুক্তি করা হয়। আট মাস আগে গত বছরের ৭ অক্টোবর নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যাল থেকে তাদের অপহরণ করা হয়েছিল।
রয়টার্স জানিয়েছে, জিম্মি উদ্ধার ও ইসরায়েলি বিমান হামলা একই অভিযানের অংশ ছিল কি না তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার হয়নি, কিন্তু উভয় ঘটনা গাজায় মধ্যাঞ্চলীয় আল-নুসেইরাত এলাকায় ঘটেছে। এলাকাটি ঘন বসতিপূর্ণ। গত আট মাসে এখানে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধাদের অনেকগুলো লড়াইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলেছেন, অভিযানে বহু মানুষ নিহত হয়েছেন। গাজার আল-আকসা হাসপাতাল ও আল-আওদা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের কাছে অভিযানে নিহত ৭০ জনের মরদেহ রয়েছে। অন্যদিকে, হামাসের সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, আল-নুসেইরাত শরণার্থী শিবির এবং এর আশপাশে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২১০ জন নিহত হয়েছে। যদিও আইডিএফ মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি এ বিষয়ে বলেছেন, ইসরায়েল অনুমান করেছে, হতাহত ১০০ জনেরও কম। ওই এলাকার ভিডিও ফুটেজে তীব্র বোমাবর্ষণের ধ্বংসযজ্ঞ দেখা যায়। সেখানকার হাসপাতালগুলোর কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা শিশুসহ এত হতাহত দেখে হতবাক। প্রত্যেককে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সামর্থ্য তাদের নেই।
চারজনকে উদ্ধারের পর ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, মধ্য গাজার নুসেইরাতের দুটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। দিনের বেলায় চালানো এ অভিযানে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে ছিল দেশটির নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ। উদ্ধার হওয়া চারজন সুস্থ আছেন। তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।