রাজধানীর গুলশান-বারিধারার কূটনীতিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে গুলিতে মনিরুল ইসলাম নামের এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে কাউসার নামে অপর এক পুলিশ কনস্টেবলকে গুলশান থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটের দিকে এই গুলির ঘটনা ঘটে। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন। আহতদের মধ্যে একজন পথচারী ও অপরজন জাপান দূতাবাসের গাড়ি চালক বলে জানা গেছে।
গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম বলেন, ‘গুলশান কূটনৈতিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশ সদস্য পড়ে থাকার খবর পাওয়া মাত্র ঊর্ধ্বতনরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি যে রাত পৌনে ১২টার দিকে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে উত্তর পাশের গার্ডরুমে এলোপাথাড়ি গুলিতে মনিরুল ইসলাম নামে এক কনস্টেবল মারা গেছেন। গুলি করেছে কনস্টেবল কাউসার আহমেদ। তাকে নিরস্ত্র করে আমরা হেফাজতে নিতে সক্ষম হয়েছি।’
‘একই ঘটনায় একজন সাইকেল আরোহী পথচারী ও আরেকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি জাপানি দূতাবাসের চালক সাজ্জাদ হোসেন। কূটনৈতিক এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’
ফিলিস্তিন দূতাবাসের সমানের সড়কে ওই পুলিশ সদস্যের নিথর দেহ পড়ে আছে। পাশেই ছোপছোপ রক্তের দাগ। বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক জোন এলাকায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম রয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে সোয়াট টিম।