নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে বলেছেন, আমি সবসময় বাংলাদেশের কথা স্মরণ করি এবং চিন্তা করি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের মধ্য দিয়ে ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে তাঁর দেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
গতকাল রোববার (৯ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাক্ষাৎ শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ভুটান বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তার ভুটানি সমকক্ষকে বলেন যে ভুটান থেকে ভারতের ভূখ- দিয়ে বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন এবং বিষয়টি ইতিমধ্যে ভারতের নজরে আনা হয়েছে। হাসান বলেন সৌজন্য সাক্ষাতের সময় দু’দেশর মধ্যকার দ্বিপাক্ষীক সম্পর্কের সম্পূর্ণ বিষয়াদি আলোচনায় উঠে আসে।
তিনি বলেন, ‘উভয় দেশ বিদ্যমান বহুমুখী সম্পর্ক বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।’ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তার দেশে একটি বার্ন ইউনিট নির্মাণ এবং এক বছরের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ভুটান বাংলাদেশের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। কেননা ভুটান ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি দেয়।
তিনি বলেন, আমরা ভুটানকে সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত। তিনি কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতকে দেওয়া জায়গার যথার্থ ব্যবহারের ওপর জোর দেন এবং আশা করেন ভুটান সেখানে শিল্প গড়ে তুলবে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ভুটানের বিনিয়োগ চেয়েছেন।
দাশো শেরিং তোবগে বলেন, ভুটানের সঙ্গে পারিবারিক বন্ধন তৈরিতে বাংলাদেশের ইচ্ছায় আমরা উদ্বুদ্ধ হয়েছি।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এবং প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।