নিজ দেশে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে ডানপন্থীদের কাছে ধরাশায়ী হয়ে আগাম জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে বুথফেরত জরিপে ম্যাক্রোঁ সমর্থিত দল বড় ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় দেশটির পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষণা করেন তিনি।
সোমবার (১০ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
ম্যাক্রোঁর ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ভোট অনুষ্ঠিত হবে এবং দ্বিতীয় ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জুলাই। হঠাৎ এই ধরনের সংসদীয় নির্বাচনকে স্ন্যাপ লেজিসলেটিভ ইলেকশন বলা হয়।
জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। আমি আপনাদের বার্তা ও উদ্বেগ জানতে পেরেছি। এর জবাব আমি এড়িয়ে যেতে পারি না। শান্তি ও সম্প্রীতির সঙ্গে কাজ করতে ফ্রান্সের সুস্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের ওপর আস্থা রয়েছে আমার। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জাতির জন্য সঠিক দিকনির্দেশনা কি তা আমি বলব। ফ্রান্সের জনগণ নিজের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সেরাটাই বেছে নেবেন। ’
সংবাদমাধ্যম বলছে, সদ্য সমাপ্ত ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের নির্বাচনে খারাপ ফলের কারণেই হঠাৎ করে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা করা হয়েছে। ইইউয়ের ওই নির্বাচনে ন্যাশনাল র্যালি থেকে শুরু করে কট্টর ডানপন্থি দলগুলো প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এই কথা কার্যত স্বীকারও করে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। তিনি বলেন, ‘যারা ইউরোপকে রক্ষায় কাজ করতে চায়, সেই সমস্ত দলের জন্য এটা মোটেও ভালো ফলাফল নয়। অতি ডানপন্থি দলগুলো… মহাদেশের সর্বত্রই ভালো করছে এবং ছড়িয়ে পড়ছে।’
তার ভাষায়, ‘এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যেখানে আমি নিজেও পদত্যাগ করতে পারছি না। আমি আপনাদেরই (জনগণ) বেছে নেওয়ার অধিকার দিতে চাই। তাই আজ রাতে পার্লামেন্ট ভেঙে দিচ্ছি।’
ফরাসি এই প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কঠোর সিদ্ধান্ত। কিন্তু একইসঙ্গে এটা আত্মবিশ্বাসের পদক্ষেপও। আমার আপনাদের ওপরে আস্থা রয়েছে। ফ্রান্সের জনগণ নিজের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সেরাটাই বেছে নেবেন।’