সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন। এসব স্থানে ঈদের জামাতে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেছেন। করেছেন ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়, কোলাকুলি।
আয়োজকেরা জানায়, সৌদি আরবের সঙ্গে মিলে রেখে তারা কয়েক বছর ধরে ঈদ জামাতের আয়োজন করে আসছেন। সকাল ৮ টায় উপজেলা মোড়ের গোলাম হযরতের মিলচাতাল চত্বরে প্রথম ঈদ জামাত হয়। ইমামতি করেন রেজাউল ইসলাম। এ জামাতে অর্ধ শতাধিক মুসল্লি অংশ নেন। উপজেলার ভালকি ও নিত্যনন্দপুর গ্রামেও ঈদের জামাতে দুই শতাধিক মুসল্লি অংশ নেন বলে জানা যায়।
জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ঈদের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা বলেন, আমরা জানি চাঁদ উঠার ওপর নির্ভর করেই ঈদ উদযাপন করা হয়। পৃথিবীর আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, শুধু বাংলাদেশ ছাড়া সৌদি আরবসহ সব মুসলিম দেশে আজ ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে। এ কারণে আমরা জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঈদের নামাজ পড়তে এসেছি।
ঈদ জামায়াতের ইমাম রেজাউল ইসলাম বলেন, সহি হাদিসের আলোকে ২২ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে হরিণাকুণ্ডুতে ঈদ নামাজ আদায় করে আসছি। এ জামাতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেক আগত তিন শতাধিক মুসল্লি এক সঙ্গে নামাজ আদায় করতেন। এখন হরিণাকুণ্ডুর তিনটি স্থানে ঈদের জামাত হওয়ায় উপজেলা মোড়ে মুসল্লির সংখ্যা কমে গেছে।
হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, উপজেলার তিনটি জায়গায় সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে কিছু মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন। তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে যেসব জায়গায় ঈদের নামাজ হয়েছে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।