বাবা হলেন সেই বটবৃক্ষ, যা রোদ, বৃষ্টি কিংবা ঝড়ে সন্তানকে আগলে রাখে পরম মমতা। বাবা-মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের জন্য আলাদা কোনও দিবসের প্রয়োজন হয় না। বাবা মানে নির্ভরতা। জীবনে যতই বাধা-বিপত্তি আসুক, সব পরিস্থিতিতেই পরম স্নেহ ও ভালবাসায় সন্তানকে আগলে রাখেন বাবা।
বাবার হাত ধরে হাঁটতে শেখা। বাবার সঙ্গে প্রথম স্কুলে যাওয়া। বাবার কাছেই পৃথিবীর ভালো-মন্দ শেখা। তাই সন্তানের কাছে বাবারা সব সময় ‘সুপার হিরো’। বাবাদের ঋণ কোনো দিন শোধ করার মতো নয়। তাই সম্মান জানাতে বাবাদের জন্য রয়েছে বিশেষ একটি দিন। প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার পালিত হয় ‘বাবা দিবস’।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, বাবা দিবসকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে সনোরা স্মার্ট ডড নামে এক নারীর। ১৯০৯ সালের আগে ওয়াশিংটনে বাবা দিবস বলে কোনও বিশেষ দিন ছিল না। সে সময় স্থানীয় গির্জায় ডড মা দিবস পালনের কথা শোনেন। মা দিবস পালনের রীতি রয়েছে কিন্তু বাবা দিবস পালনের রীতি নেই জেনে তিনি ভীষণ অবাক হন। তারপর তিনি বাবা দিবসের স্বীকৃতির জন্য সোচ্চার হয়ে ওঠেন। ডড তার বাবাকে অসম্ভব ভালোবাসতেন। মা ছিল না তার। মায়ের মৃত্যুর পর শত দুঃখ-কষ্টের মধ্যে থেকেও তাদের সাত ভাইবোনকে বড় করে তুলেছিলেন তাদের সিঙ্গেল বাবা। বাবার এই ত্যাগ দেখে ডডের মনে হলো, মা দিবসের এত আয়োজন হলে বাবা দিবস কেন বাদ থাকবে। বাবাকে সম্মান জানানোর জন্যও একটা দিন থাকা দরকার।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ দিবসটি ভিন্ন ভিন্ন দিনে পালন করা হয়। বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাবা দিবস পালন করা হয় জুন মাসের তৃতীয় রবিবার। দক্ষিণ আমেরিকায় দিবসটি পালিত হয় ১৯ মার্চ। আর অস্ট্রেলিয়া ও ফিজিতে পালন করা হয় সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম রবিবার।
ভাল থাকুক বিশ্বের সকল বাবা।