Top Newsসংবাদ সারাদেশ

সুনামগঞ্জে কমছে বন্যার পানি, জনমনে স্বস্তি

মোহনা অনলাইন

অতিবর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে বিপর্যস্ত সিলেটে দেখা মিলেছে রোদের। প্রায় পাঁচ দিন পর শুক্রবারের (২১ জুন) রৌদ্রোজ্জ্বল সকাল মানুষের মনে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে।

টানা তিন দিন ভারী বৃষ্টির পর সিলেটে গতকাল বৃহস্পতিবার মেঘ কেটে রোদের দেখা মেলে। আজ শুক্রবার (২১ জুন) সকালেও সূর্যের দেখা মিলেছে। বৃষ্টি কমায় উন্নতির পথে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতিও। কোথাও কোথাও কয়েক ইঞ্চি পরিমাণ পানি নেমেছে। তবে বন্যায় মানুষের ভোগান্তি বেড়ে চলছে। সঙ্গে বাড়ছে বন্যাকবলিত মানুষের সংখ্যাও। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুর পর্যন্ত এ সংখ্যা সাড়ে নয় লাখ ছাড়িয়েছে।

আজ শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেওয়া তথ্যমতে, সিলেটের সুরমা নদীর কানাইঘাট ও সিলেট পয়েন্টে এবং কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, শেওলা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুধু ফেঞ্চুগঞ্জ-এর কুশিয়ারা নদীর পানি ০.১ সেন্টিমিটার বাড়া ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় গতকাল সন্ধ্যার হিসাব অনুযায়ী পানি কমেছে কয়েক সেন্টিমিটার।

বর্তমানে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে শূন্য দশমিক ৬১ সেন্টিমিটার, সিলেট পয়েন্টে শূন্য দশমিক ১৪ সেন্টিমিটার, অমলশিদ পয়েন্টে শূন্য দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে শূন্য দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ১ দশমিক ০৩ সেন্টিমিটার এবং শেরপুর পয়েন্টে শূন্য দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসাইন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ২০ মিলিমিটার। গতকাল দুপুর থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়নি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, আজকের পর থেকে যদি নিয়মিত রোদের দেখা পাওয়া যায় তাহলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। এ ছাড়াও যেহেতু ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত কমেছে, আশা করা যাচ্ছে পানি কমে যাবে। আবার যদি ঐ  দিকে বৃষ্টিপাত বাড়ে তা হলে পরিস্থিতি আগের জায়গায় চলে যেতে পারে।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button