সুন্দরবনের দুবলার চরে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব। মুলত শ্রীকৃষ্ণের সাথে শ্রী রাধিকা ও গোপিনীদের মিলনপর্বই রাস উৎসব হিসাবে যুগ যুগ ধরে পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মালম্বীরা। আর হেমন্তের পুর্নিমা তিথিতে সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের দুবলার চরের আলোর কোলে প্রতি বছরই অনুষ্ঠিত হয় এই রাসমেলার।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) থেকে শুরু হয়ে তিন দিনব্যাপী এই রাস উৎসব পূর্ণিমার পূজা ও পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে আগামী ১৬ নভেম্বর শেষ হবে। তবে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে অন্যান্য বারের মতো এবারও পুণ্যার্থী ছাড়া অন্য কেউ ওই সময় সুন্দরবনে ভ্রমণ করতে পারবেন না। এ ছাড়া এবারও এ উৎসবকে কেন্দ্র করে হচ্ছে না রাসমেলা। ২০২১ সাল থেকে রাসপুজা হলেও বন্ধ রয়েছে রাসমেলা।
এই উৎসবকে কেন্দ্র করে সুন্দরবন উপকূলজুড়ে নেওয়া হচ্ছে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের জন্য বন বিভাগ নির্দিষ্ট পথ নির্ধারণ করে দিয়েছে। এসব পথে বন বিভাগ, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল দল তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীদের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আছে। বন্য প্রাণী শিকার বন্ধে বন বিভাগ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর পাশাপাশি বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
‘রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান’ উপলক্ষে তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীদের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের জাহাজ বিসিজিএস তৌফিক এবং বিসিজি স্টেশন দুবলা। ‘রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান’ উপলক্ষে যেকোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং প্রস্তুত রাখা হয়েছে ডুবুরি দল। এছাড়াও দুবলার চর সংলগ্ন সুন্দরবন এলাকায় যেকোন অপ্রিতিকর ঘটনা রোধে কোস্ট গার্ডের গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রয়েছে।