পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে নেত্রকোনা সীমান্ত উপজেলা কলমাকান্দাসহ তিন উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। ক্রমাগত বাড়ছে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি।
গত তিনদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জেলার প্রধান প্রধান নদীগুলোর মধ্যে উব্ধাখালী নদীর পানি কলমাকান্দায় বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।
জেলার প্রধান নদী ধনু-কংশ-সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে বলে জানিয়েছে নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে, বাসাবাড়িতে পানি উঠতে শুরু হওয়ায় বের হতে পারছেন না অনেকেই। রান্নাঘর, গোয়ালঘর এরই মধ্যে প্লাবিত হয়েছে। অনেক বসতবাড়ির উঠানে পানি উঠেছে। এভাবে বর্ষণ অব্যাহত থাকলে বসত ঘরে পানি উঠতে এবং সুপেয় পানি ও খাবার সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
কলমাকান্দায় উব্ধাখালি নদীর পানি বেড়ে উপজেলার আটটি ইউনিয়নেই পানি ঢুকেছে। এর মধ্যে সদর, বরখাপন ও পোগলা ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা ও কৈলাটি, রংছাতি ও খারনৈসহ বাকি পাঁচটি ইউনিয়নের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু কাঁচা পাকা সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।
তবে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় শুকনো খাবার, আশ্রয়ণ কেন্দ্র, উদ্ধারকারী দল, মেডিকেল টিমসহ সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান। তিনি জানান, বন্যা মোকাবেলায় উপজেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজসহ মোট ৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে বিশরপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে পাঁচটি পরিবারের ২০ জনের মতো আশ্রয় নিয়েছেন।