ভালোবেসে চিত্রনায়ক শরিফুল রাজকে বিয়ে করেছিলেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমণি। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানেই ভেঙে যায় তারকা দম্পতির সংসার। বিয়ের বছর পার হতে না হতেই জটিলতা দেখা দেয় তাঁদের সম্পর্কে। ছেলে পুণ্যের জন্মের পর থেকে বাড়তে থাকে দূরত্ব। শেষ পর্যন্ত ছেলে ও স্ত্রীর থেকে আলাদা থাকা শুরু করেন অভিনেতা। রাজের নামে পরকীয়ার অভিযোগ আনেন পরীমণি। বিস্তর কাদা ছোড়াছুড়ি চলে। শেষমেশ শোনা যায় বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে দুই তারকার।
যদিও রাজের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের ভিডিয়ো দেখলে চোখে জল আসে অভিনেত্রীর! যেমনটা সম্প্রতি হয়েছে। বাংলাদেশের একটি চ্যাট শোয়ে গিয়ে চোখের কোণ চিকচিক করে ওঠে নায়িকার। তবে কি বিবাহবিচ্ছেদের কষ্ট চেপে রেখেছেন অভিনেত্রী!
মূলত, ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের একটি বেসরকারি টিভি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন পরীমণি। বছরখানেক আগেও একই অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন তিনি। তখন তার সঙ্গে ছিলেন স্বামী শরিফুল রাজ। শুধু তাই নয়, সে সময় অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন অভিনেত্রী। পরীমণি-শরিফুল রাজের পুরোনো সেই ভিডিওর কিছু অংশ আবারও অনুষ্ঠানে দেখানো হয়। সেই ভিডিও দেখেই কেঁদে ফেলেন পরী। চোখের জল মুছে নিজেকে কিছুটা সামলে নেন অভিনেত্রী।
এরপর বলেন, ‘এটা আমার জীবনের মিষ্টি কিছু মুহূর্তের একটি। যদি জীবনের তিনটি সেরা পার্ট বাছাই করতে বলা হয়, তার মধ্যে এই জার্নি একটি। সত্যি বলতে, রাজের সঙ্গে ওই সময়গুলো আমার স্বপ্নের মতো কেটেছে। ওই মানুষটা (রাজ) আমার কাছে ফেরেশতা সমান। এখনকার মানুষটির (রাজ) সঙ্গে মেলালে হবে না কিন্তু! কারণ ওই মানুষটার সঙ্গে বর্তমান মানুষটার মিল নেই। তারা আলাদা।’
তৃতীয় কোনো ব্যক্তির কারণে রাজের সঙ্গে সম্পর্কে ভাঙন ধরেছিল কি না? জবাবে পরীমণি বলেন, ‘সেটা আমি জানি না। আর এটা নিয়ে বলতে গেলে আবার সালিশ-বিচার হয়ে যাবে। সুতরাং এটা নিয়ে আর কথা বলতে চাই না।’
আমাকে যদি বলা হয়, জীবনের কোন মুহূর্তটা মমি করে রাখতে চান, তাহলে বলব— আমার গর্ভকালীন সময়টা। শুধু গর্ভকালীন নয়, এই মানুষটার (রাজ) সঙ্গে কাটানো সময়টাও- যোগ করেন পরীমণি।