Top Newsঅর্থনীতি

আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ, বৈঠক আজ

মোহনা অনলাইন

আজ সোমবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পর্ষদের সভায় বাংলাদেশের জন্য ঋণের তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার ছাড়ের প্রস্তাব উঠছে।

বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে আইএমএফ-এর সদর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে পর্ষদে অনুমোদনের পর চলতি মাসের শেষ নাগাদ তৃতীয় কিস্তির অর্থ পাওয়া যাবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির পরিমাণ হবে ১১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর মধ্যে এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) ও  এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি থেকে ৯৩ কোটি  ২০ লাখ ডলার এবং রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় ২২ কোটি ডলার।

বৈঠকে বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাবটি উত্থাপন হবে। এটি চূড়ান্ত অনুমোদন হলে চলতি মাসের শেষ নাগাদ তৃতীয় কিস্তির অর্থ পাওয়া যাবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। ঋণের কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে আইএমএফ-এর দেওয়া শর্ত বাস্তবায়ন এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের অগ্রগতি দেখতে ২৪ এপ্রিল ঢাকায় আসে সংস্থাটির একটি মিশন । তারা ৮ মে পর্যন্ত অবস্থান করে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে। এতে শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ সংস্কার কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চায় তারা।

প্রতিনিধিদলটি ঢাকা ত্যাগের আগে এমন বার্তা দিয়ে যায়, শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে তারা খুশি। ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে তারা প্রতিবেদনে সুপারিশ করবেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, নির্বাহী পরিষদ ঋণের অর্থ ছাড়ের প্রস্তাবটি অনুমোদন করবে। বৈঠকে প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে মঙ্গল বা বুধবার ঋণের অর্থ পাওয়া যাবে। এবার তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। টাকার বড় ধরণের অবমূল্যায়নের কারণে কিস্তির অর্থও বেড়েছে।

বৈঠকে প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে মঙ্গল বা বুধবার ঋণের অর্থ পাওয়া যাবে। এবার তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। টাকার বড় ধরণের অবমূল্যায়নের কারণে কিস্তির অর্থও বেড়েছে।

এর আগে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের অনুকূলে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। এর মধ্যে দুটি কিস্তিতে ১১৬ কোটি ডলার ছাড় করা হয়েছে। এখন তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ডলার ছাড় করার পর্যায়ে রয়েছে।

ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে চলতি বছরের নভম্বরের শেষদিকে আরও একটি মিশন ঢাকায় আসতে পারে। ডিসেম্বরে ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় হওয়ার কথা রয়েছে।

এই অর্থ পেলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার ২ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এর আগে একাধিকবার নিট রিজার্ভ ২ হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমেছে। পাশাপাশি বাজারে ডলারের প্রবাহ কিছুটা বাড়বে।

author avatar
Online Editor SEO
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button