বিনোদন

সৃজিতকে ডাকে ‘আব্বু’ তাহসানকে ‘বাবা’, দুইয়ের কেন্দ্রে আমি

মোহনা অনলাইন

বাংলাদেশের জনপ্রিয় তারকা জুটি রাফিয়াথ রশীদ মিথিলা ও তাহসান খান। ভালোবেসে বিয়ে করে সংসারি হয়েছিলেন তারা। ১৪ বছর সংসার করার পরও ভেঙে যায় তাদের বিয়ে। এরপর কলকাতার পরিচালক সৃজিত মুখার্জিকে বিয়ে করেন মিথিলা।

প্রথম সংসারের একমাত্র কন্যা আইরাকে নিয়ে সেখানেই থিতু হন অভিনেত্রী। যদিও বাবা তাহসানের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ ছিল আইরার। যদিও তা হয় প্রাক্তন দম্পতির কন্যা আয়রার জন্য। বিবাহবিচ্ছেদ হলেও মিথিলা-তাহসানের মাঝে এখনো যোগাযোগ রয়েছে। প্রতিদিনই কথা হয় তাদের।  এসব বিষয় নিয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে কথা বলেছেন মিথিলা।

আনন্দবাজারের পক্ষ থেকে মিথিলার কাছে প্রশ্ন করা হয়, বিবাহবিচ্ছেদের পরও সম্পর্ক রাখা কি স্বাভাবিক? জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘সব সম্পর্কে বন্ধুত্ব নাও থাকতে পারে। কিন্তু সন্তান থাকলে তার স্বার্থ আগে দেখতে হবে। সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য আমার কাছে সবার আগে। এটাই উচিত।’

মিথিলা বলেন, ‘আমি আয়রাকে দেখতে পেলাম না। আমি আর তাহসান লড়াই করলাম, এই ইগোর যুদ্ধে তো বাচ্চার ক্ষতি হবে। আমি আর তাহসান চৌদ্দ বছর একসঙ্গে থেকেছি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের আলাপ। দু’জন দু’জনকে ভালো করে জানি। আয়রা আমাদের দু’জনের কাছে সবার আগে।’ বলেন মিথিলা।

মিথিলার সবকিছু জেনেই তাকে বিয়ে করেছেন সৃজিত। বিষয়টি উল্লেখ করে এই তারকা বলেন, ‘সৃজিত সবটাই জানত। বাংলাদেশে গিয়েছে, আমার পরিবারকে দেখেছে। তাহসানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক দেখেছে। বিয়ের মতো সম্পর্ক হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকগুলো কারণ থাকে, সৃজিত সবকিছু জেনেই আমাকে গ্রহণ করেছে।’

তাহসান-মিথিলার কন্যা আয়রার সঙ্গে সৃজিতের দারুণ সখ্যতা। সেটা জানিয়ে মিথিলা বলেন, ‘আয়রার সঙ্গে সৃজিতের চট করে বন্ধুত্ব হয়ে যায়। আয়রা সৃজিতকে ‘আব্বু’ ডাকে আর তাহসানকে ডাকে ‘বাবা’। এই দুইয়ের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আছি আমি।’

বর্তমানে কলকাতা ও ঢাকায়, দুই বাংলায় মিলিয়েই মিথিলার জীবন। অভিনেত্রী বলেন, ‘কলকাতায় একটানা যখন থাকতাম বাংলাদেশে লোকে বলত, মিথিলাকে তো পাওয়াই যায় না। অন্যদিকে ঢাকায় থাকলে বা বাইরে গেলে কলকাতার লোক আমাকে ফোনে পায় না। আমাকে যদি কেউ বেশ কিছুদিন আগে অভিনয়ের কথা বলে, তাহলে কিন্তু আমি ঠিক সময় বার করে ফেলি। যে কাজ করবে আর যে কাজ করাতে চায়, দু’জনের চাওয়া মিলতে হবে।’

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button