আলোচিত মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা ‘জল্লাদ’ শাহজাহান ভূঁইয়া মারা গেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামিসহ ২৬ আসামির ফাঁসি কার্যকর করে আলোচিত হয়েছিলেন তিনি।
সোমবার (২৪ জুন) ভোরে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
ডিএমপির তেজগাঁও জোনের শের-ই-বাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মশিউর আজম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মশিউর আজম বলেন, ‘সাভারের হেমায়েতপুরের জাদুরচর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন শাহজাহান। রোববার রাত সাড়ে ৩টার দিকে বুকে ব্যথা শুরু হলে তাকে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।’
জানা গেছে, সোমবার ভোর ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়। তার বোন ফিরোজা হাসপাতালে মরদেহ গ্রহণ করেন। আইনগত কার্যক্রম শেষে শাহজাহানের মরদেহ নরসিংদির পলাশ উপজেলার ইছাখালী গ্রামে দাফন করা হবে।
এর আগে ৩৬ মামলার আসামি জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া ৩২ বছর কারাভোগের পর গত বছরের ১৮ জুন মুক্তি পান। সাজার মেয়াদ কমানোর বাসনায় একের পর এক অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে কয়েদি থেকে জল্লাদ বনে যান শাহজাহান।
কারাগারের রেকর্ড অনুযায়ী, দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন শাহজাহান ভূঁইয়া। একটি ডাকাতি করতে গিয়ে হত্যা মামলা এবং আরেকটি অস্ত্র আইনে মামলা। এই দুই মামলায় ১৯৯১ সালের ১৭ মে থেকে কারাগারে ছিলেন শাহজাহান। দুই মামলায় তাঁর সাজা হয়েছিল ৪২ বছর। ফাঁসি কার্যকর ও অন্যান্য কারণে তাঁর সাজার মেয়াদ কমিয়ে ৩২ বছর করা হয়েছিল। ওই সাজা শেষ হওয়ার পর গত বছরের ১৮ জুন শাহজাহান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। ৪২ বছরের সাজার মধ্যে প্রতি ফাঁসির জন্য দুই মাস কারা রেয়াত পেয়েছিলেন শাহজাহান।