সারাদেশের আলোচিত চাঞ্চল্যকর বগুড়া কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ কেটে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার কয়েদির পলায়নের ঘটনায় ৩ কারারক্ষীকে বরখাস্ত ও ৪ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুন) রাতে বরখাস্তের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও কারাগার কর্তৃক পক্ষ পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুনরায় গ্রেপ্তার ৪ কয়েদীদের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেলে বগুড়া সদর থানায় ৪ কয়েদীকে পুনরায় আসামী করে বগুড়া কারাগারের জেলার ফরিদুর রহমান রুবেল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। সকালে রাজশাহী ডিআইজি ও বিকেলে অতিরিক্ত আইজিপি( প্রিজন) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ছাদ কেটে রশির মাধ্যমে তারা পলায়ন করেন৷ পরে পুলিশ রাতে ৪ টায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
ত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিরা হলো, স্কুল ছাত্র নাঈম হত্যা মামলার আসামী জেলার কাহালু পৌর মেয়র ও বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নানের ছেলে জাকারিয়া (৩১)(কয়েদি নং ৩৬৮৫), কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা এলাকার নজরুল ইসলাম মজনু(কয়েদি নং ৯৯৮), নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি এলাকার আমির হোসেন(কয়েদি নং- ৫১০৫), এবং বগুড়ার কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকার ফরিদ শেখ(কয়েদি নং- ৪২৫২)।
এ ব্যাপারে সকাল থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত বগুড়া কারাগারের জেল সুপার আনোয়ার হোসেন ও জেলার ফরিদুর রহমান রুবেল সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন না। সরকারি মোবাইলে একাধিক বার কল দিলেও রিসিভ করছেন। তবে
বরখাস্তের খবর একাধিক নির্ভরযোগ্য সুত্র নিশ্চিত করেছে।
বুধবার সকালে নিজ কার্যালয়ে বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক চারটায় জানতে পারেন বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে বিছানার চাদর দিয়ে রশ্মি তৈরী করে প্রাচীর টপকিয়ে ৪ জন ফাঁসির আসামী পালিয়েছে। তাৎক্ষণিক ভাবে ডিউটি রত সকল পুলিশকে তাদের গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। রাত আনুমানিক ৪ টা ১০ মিনিটে সদর ফাঁড়ির এস আই খোরশেদ আলম তার নেতৃত্বে শহরের চেলোপাড়া চাষী বাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।