ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ সোমবার (১ জুলাই)। ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১০৪ বছরে পদার্পণ করেছে আজ। পূর্ব বাংলার মানুষের জন্য উচ্চশিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯২১ সালের ১ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) নানা ঘটনা ও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে।
১৯২১ সালের এই দিনে ৮৪৭ শিক্ষার্থী, ৩টি অনুষদ ও ১২ বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল ‘ প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ গুরুত্বপূর্ণ সকল আন্দোলনের সূতিকাগার ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বের বুকে দেশকে প্রতিনিধিত্বকারী বিশ্ববিদ্যালয়ও এটি।
তবে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি, তীব্র আবাসন সংকটসহ নানা সমস্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমে পিছিয়ে রয়েছে।শুরুর দিকের কার্যক্রম বিশ্বজুড়ে সুনাম কুড়ালেও বিগত কয়েক দশক ধরে শিক্ষার্থীদের তীব্র আবাসন সংকট, গবেষণার অপ্রতুলতা এবং অ্যানালগ সেবার কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিবারের মতো এবারও বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হবে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা’। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সকাল ১০টায় ছাত্র-শিক্ষককেন্দ্রের সামনে পায়রা চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।
এ উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। বাণীতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের নিবিড় চর্চার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনবদ্য অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
শুভেচ্ছাবার্তায় উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, জ্ঞান আহরণ ও বিতরণের গৌরবগাথা নিয়ে শতবর্ষ পাড়ি দিয়েছে প্রাণপ্রিয় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, চিরগৌরবময় মুক্তিযুদ্ধসহ গণমানুষের সব লড়াইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা নেতৃত্ব দিয়েছে।