ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার মোস্তাফিজুর রহমান ফকির আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে এ মামলায় চার পাঁচ আসামি স্বীকারোক্তি দিলেন।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে মোস্তাফিজুর বলেন, এমপি আজীম হত্যা মামলার প্রধান আসামি শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে তাঁর ও আরেক আসামি ফয়সাল আলী শাজীর যোগাযোগ হয় গত মার্চে। বড় অঙ্কের অর্থ দেওয়ার কথা বলে তাদের ভারতে যেতে বলা হয়। ভারতে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট, ভিসা, টিকিটসহ সব কাজ করে দেওয়ার বিষয়ে শিমুল ভূঁইয়া আশ্বাস দেন। পাসপোর্ট করার জন্য শিমুল টাকাও দেন। পরে ১৫ এপ্রিল মোস্তাফিজ ও ফয়সাল ঢাকায় এসে হত্যাকাণ্ডের প্রধান পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের বসুন্ধরার বাসায় ওঠেন। এরপর ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত তারা ওই বাসায় অবস্থান করেন। আক্তারুজ্জামানের পরিকল্পনায় ২ মে তারা কলকাতা যান।
এর আগে, গত ২৭ জুন আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ও ফয়সাল আলী শাজীর ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আসামি ফয়সাল আলী শাজী বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন। এ মামলায় শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান ও কাজী কামাল আহমেদ বাবু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে আজীম হত্যার প্রতিবাদ ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে খুনিদের শাস্তি দাবি করেছেন কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মী। গতকাল সকালে শহরের কোটচাঁদপুর রোডে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।