যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন আজ। এ নির্বাচনের মাধ্যমে ১৪ বছর পর আবারও বিরোধী দল লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসতে পারে বলে বিভিন্ন জরিপের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
২০১৯ সালে বোরিস জনসনের হাত ধরে কনজারভেটিভ পার্টি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম দেশটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণে সাধারণ নির্বাচন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক সবাইকে অবাক করে নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগে এই নির্বাচনের ডাক দেন।
প্রায় দেড় মাসের নির্বাচনি প্রচারণা শেষে আজ সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ হবে যুক্তরাজ্যে। এ নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি, লেবার পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, গ্রিন পার্টি, রিফর্ম পার্টিসহ অন্তত ৯৮টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে। হাউজ অব কমন্সের ৬৫০টি আসনের বিপরীতে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনীত, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ রেকর্ডসংখ্যক ৪ হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ঋষি সুনাক যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, তখন যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে উথাল-পাথাল অবস্থা চলছিল। ছয় বছরে পাঁচজন প্রধানমন্ত্রী বদল হয়েছে। ঋষি সুনাক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হবার পর থেকেই নানা চ্যালেঞ্জে সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি সবচেয়ে বড় জুয়াটি খেলেছেন আগাম নির্বাচন ডেকে। কিন্তু তেমন কোনো লাভ হয়নি। অথচ লেবার নেতা স্টারমারকে তেমন কোনো ক্যারিশমা এবং তারকাগুণ ছাড়াই বিপুল জয়ের দ্বারপ্রান্তে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে এবার ৯ নারীসহ ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক লড়াই করছেন, যার মধ্যে একক দল হিসেবে বিরোধী লেবার পার্টি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সর্বোচ্চ আট জন। বর্তমান এমপি রুশনারা আলি, রুপা হক, টিউলিপ সিদ্দিক, আপসানা বেগমসহ লেবার পার্টি মনোনীত প্রত্যেক প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। লেবার পার্টি সরকার গঠন করলে প্রথম বার মন্ত্রিসভায়ও স্থান পেতে পারেন কোনো কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপিও।
যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোট দেওয়া শুরু হয়েছে ৪০ হাজার নির্বাচন কেন্দ্রে। গির্জার হল, কমিউনিটি সেন্টার, স্কুল থেকে শুরু করে পানশালা, এমনকি একটি জাহাজেও থাকছে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা। রাত ১০টায় বিভিন্ন সম্প্রচারমাধ্যম বুথফেরত জরিপের ফলাফল ঘোষণা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ফলাফলে কোন দল কেমন করতে পারে, তার একটি সঠিক চিত্র তুলে ধরা হয়।