বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী ১৫ জুলাইয়ের দিকে সারা দেশে গ্যাস নিরবচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ‘বাজেট পরবর্তী’ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন তথ্য জানিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেপ্টেম্বরে বড় বন্যা হলে আমাদের কী প্রস্তুতি থাকা দরকার, আমরা সেটা নিয়ে ভাবছি। ভবিষ্যতে এই ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার কাজ চলছে। বাংলাদেশ ৭০০’র মতো নদীর দেশ। এখানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরবচ্ছিন্ন রাখা কঠিন কাজ। আমরা চেষ্টা করছি, এখন পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আগামী ১৫-১৬ জুলাইয়ের দিকে গ্যাস নিরবচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এদিকে আদানিও বিদ্যুৎ দেওয়া শুরু করেছে।
জ্বালানি সাশ্রয় এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের অনেক কাজ বাকি। আমরা এবার দেখতে পাচ্ছি, ঝড়-বাদলের সময় প্রচুর জায়গায় বিদ্যুতের লাইন পড়ে গেছে। গত ঝড়ে আমাদের একটি এফএসআরইউ (ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় এক মাস যাবত আমাদের কাজ চলছে। এটা হয়তো আগামী ১৪-১৫ তারিখের দিকে আসবে। ঝড়ে প্রায় ৩০ হাজার বৈদ্যুতিক খুঁটি নষ্ট হয়ে গেছে।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘গত এক মাস বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল। ভবিষ্যতে যাতে আরও কমিয়ে নিয়ে আসা যায়, সে জন্য এই বাজেটের বেশির ভাগ অর্থ খরচ করা হবে। বাংলাদেশের মতো ৭০০ নদীর দেশ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতি বছর লেগে থাকে। সেখানে বিদ্যুৎ-জ্বালানি নিরবচ্ছিন্ন রাখা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আর আমাদের মতো দেশে, এখানে অর্থের ঘাটতি থাকে সব সময়। সেই জায়গায় রাত-দিন কাজ করাটাই অসম্ভব হয়ে যায়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৪-২৫ সালের বাজেট পাস হয়েছে গত ৩০ জুন। এবার জ্বালানি খাতে এক হাজার ৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। জ্বালানি বিভাগ সাধারণত তাদের নিজস্ব অর্থ ব্যয় করে। যেমন গ্যাস ও তেল কেনার ব্যাপারে নিজেদের অর্থই ব্যয় করা হয়। কিন্তু উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের কিছু অর্থ দরকার পড়ে। সেটার পরিমাণ এক হাজার ৮৬ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, আমাদের বিদ্যুত খাতে সৈয়দপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়নে কিছুটা সহায়তা দরকার। চলতি বাজেটে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা আমাদের মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি জ্বালানি সাশ্রয়ের বিষয়টিও রয়েছে।