বর্তমানে বাংলাদেশ দলে সবচেয়ে আনপ্রেডিক্টেবল বোলার মোস্তাফিজুর রহমান। এক ম্যাচে ছন্দে থাকলে, আরেক ম্যাচ ছন্দহীন। এক ম্যাচে মিতব্যয়ী তো আরেক ম্যাচে খরুচে।
চলতি বছর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দেখা যায় এ চিত্র। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) ধরে রাখেছেন এই ধারাবাহিকতা।
চলমান এলপিএলে শুরুটা ভালো করলেও তার শেষটা হচ্ছে ছন্দহীনভাবে, বেধম মার খেয়ে। রোরবার (৭ জুলাই) রাতে তাসকিন আহমেদের দল কলম্বো স্টাইকার্সের বিপক্ষে শুরুটা ভালো করেছিলেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার।
প্রথম ২ ওভারে দিয়েছিলেন মাত্র ১৬ রান। এরপর যেন খই হারিয়ে ফেলেন। শেষ ২ ওভারে দেন ৩৭ রান। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে রান দিয়েছেন ৫৩। নামের পাশে উইকেট শূন্য।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মোস্তাফিজের হাতে বল তুলে দেন ডাম্বুলার অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি। এক ছক্কাসহ খরচ করেন মাত্র ৭ রান। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের টাইগার এ পেসার রান দেন ৯ রান। ২ ওভারে ১৬ রান দেওয়ার পাশাপাশি মোস্তাফিজ ডট বল করেন ৭ টি।
এরপরও ম্যাচে জয় পেয়েছে তার দল ডাম্বুলা। আগে ব্যাট করে কলম্বো ৫ উইকেটে ১৮৫ রান করেন। জবাবে ২ উইকেটে ডাম্বুলা করে ১৮৮ রান। বাংলাদেশের আরেক পেসার তাসকিন কলম্বোর হয়ে ৪৫ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। এ ম্যাচে সর্বমোট ৫টি ছক্কা হজম করেন কাটার মাস্টার। এতে নাম লেখান অস্বস্তিকর এক রেকর্ডে। চলতি বছর এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছক্কা খাওয়ার রেকর্ড এখন তার দখলে। ছক্কা খাওয়ায় পুরণ করেছেন অর্ধশতক। ৩৮ ম্যাচে তিনি ছক্কা খেয়েছেন ৫১টি।
৪৭ করে ছক্কা হজম করে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয়তে আছেন আফগানিস্তানের নাভিন উল হক এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল। নাভিন ৪২ ম্যাচে হজম করেন ৪৭ ছক্কা। আর রাসেল খেলেছেন ৩৮ ম্যাচ।