কোপা আমেরিকার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আজ মাঠের পারফরমেন্সে আরও একবার প্রমাণ করেছে ডিফেন্ডিং লিওনেল মেসিরা। গোল, জয়, কর্তৃত্ব; কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার খেলায় সবই ছিল। পুরো ম্যাচে দাপটের সঙ্গে খেলেছে আর্জেন্টিনা।
যুক্তরাষ্ট্রের মেট লাইফ স্টেডিয়ামে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। দলকে ফাইনালে তোলার পথে গোল করেছেন মেসি ও আলভারেজ। চলতি টুর্নামেন্টে দুজনই প্রথমবার জালের দেখা পান আজ।
আর্জেন্টিনাকে ম্যাচের ২২ মিনিটে আনন্দের উপলক্ষ আনে দেন হুলিয়ান আলভারেজ। লাউতারো মার্তিনেজের লম্বা থ্রু বল সুবিধাজনক অবস্থায় পেয়ে যান আলভারেজ। ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। গোলরক্ষককে একা পেয়ে বল জলে জড়াতে ভুল করেননি এই আর্জেন্টাইন । তার ডানপায়ের জোরালো শট কেনাডার গোলরক্ষক ম্যাক্সিমির পায়ের ফাঁক গলে গলে জড়ায়।
প্রথমার্ধের শেষদিকে আরো দুটি গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন মেসি। প্রথমার্ধে দুই দলই গোলের চেষ্টা করলেও স্কোরেলাইনে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
টুর্নামেন্টে প্রথম গোলের খোঁজে থাকা মেসি প্রথমার্ধে লক্ষ্য মিস করলেও অবশেষে দ্বিতীয়ার্থে পেয়ে যান গোল। ৫১ মিনিটে থ্রো থেকে পাওয়া বলে মেসি বক্সের কাছে সতীর্থকে পাস দিয়েছিলেন। তার পর কানাডা ডিফেন্ডার সেটি ক্লিয়ার করতে গিয়ে ভুলক্রমে পেনাল্টি এড়িয়ায় দাঁড়ানো এনজোর কাছে গেলে তার শটেই গোলমুখে দাঁড়ানো মেসি আলতো টোকায় জালে পাঠান বল।
ম্যাচে ফেরার জন্য দারুণ চেষ্টা চালিয়েছে কানাডা। ৮০ হাজার দর্শকের সামনে আজ বুধবার ম্যাচের শুরুটা দারুণ করেও ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি কানাডা। নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে ৫১ভাগ সময় বল দখলে রেখে ১১ বার আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। বিপরীতে ৪৯ ভাগ সময় বল পায়ে রাখা কানাডার আক্রমণ ৯টি। ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন নিয়ে নামা কানাডা ম্যাচের শুরুতেই পরপর দুটি সুযোগ পেয়ে যায়। কিন্তু দুটিই হারায় কানাডিয়ানরা। শুরুর ১০ মিনিটে আর্জেন্টিনার চেয়ে বরং দাপট দেখিয়েছে কানাডাই।
এবারের আসরে প্রথম ফাইনালিস্ট আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আগামীকাল বৃহস্পতিবার লড়বে উরুগুয়ে ও কলাম্বিয়া। ওই ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে আগামী ১৫ জুলাই শিরোপা যুদ্ধে নামবে আর্জেন্টিনা। গত ১০ বছরে এই নিয়ে ষষ্ঠবারে কোনো মেজর টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠল আলবিসেলেস্তেরা। লাতিন আমেরিকান শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে আর স্রেফ এক ম্যাচ দূরে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।