Top Newsজাতীয়

কোটা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী

মোহনা অনলাইন

জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, আমরাও চাই কোটার বিষয়টি সুন্দরভাবে নিষ্পত্তি হয়ে যাক। তবে আদালতকে আমরা সন্মান ও শ্রদ্ধা করি। আদালতের বিষয়টি আদালতের গিয়েই সমাধান করতে হয়।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, ’আমি একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের বলবো, বিষয়টি নিয়ে রাস্তায় না থেকে এটি নিয়ে আদোলতে গিয়ে নিষ্পত্তি করা। ২০১৮ সালে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল, সেই আলোকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা অন্যরা মনে করেছেন তারা বঞ্চিত হয়েছেন। এরপর তারা ২১ সালে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। সেই চলমান প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে ৫ জুন একটা রায় দিয়েছেন আদালত। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গতদিনও (১০ জুলাই) শুনানির পরে আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ’সরকারও চায় বিষয়টি নিষ্পত্তি হোক। কিন্তু যেখানে যে বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়া দরকার, সেখানেই তা নিষ্পত্তি হতে হবে। রাস্তা অবরোধ করে, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করার চেয়ে আদালতে যাওয়াই যৌক্তিক। ওখানে গিয়ে যৌক্তিকভাবে সব তুলে ধরলে একটি সহজ সমাধান হবে’।
যারা এদেশের মানুষের কল্যাণ চায় না, আওয়ামী লীগ সরকার নিম্ন আয়ের দেশ থেকে উন্নয়ন করে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে চায়, এটি যারা চায় না তারাই এসব আন্দোলনে ইন্ধন জোগাচ্ছে। একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনেই কোটা বিষয়টিকে জটিল করে তোলা হচ্ছে। আন্দোলন পরিহার করে, বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের আদালতে সমাধানের আহ্বানও জানান মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর বুধবার চার সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে বলেছেন আদালত। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ৭ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়েছে।
এ আদেশের ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
author avatar
Online Editor SEO
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button