Top Newsজাতীয়

অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশ বসে থাকবে না

মোহনা অনলাইন

কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশ বসে থাকবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, পুলিশ যখন অপারগ হয়ে যায় তখনই অ্যাকশনটা আসে। যখন কেউ অগ্নিসংযোগ করতে যায়, যখন জানমালের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়.. এককথায় অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশ বসে থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, যারা আন্দোলন করছে তারা শিক্ষিত ছেলে, তারা মেধাবী ছেলে। তারা কেন রাষ্ট্রের বিপক্ষে যাবে? তারা নিশ্চিয়ই সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে ঘরে ফিরে যাবে।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বেশ কয়েকদিন হলো তারা (আন্দোলনরত শিক্ষার্থী) কিন্তু একই কাজ করছেন। এরই মধ্যে প্রধান বিচারপতি একটা নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, যে নির্দেশনা হাইকোর্ট দিয়েছেন সেটি স্থগিত। যে মামলাটি চলছে সেটির রায় না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। তাই হাইকোর্ট যে নির্দেশনা (কোটা বহাল করে) দিয়েছিলেন সেটি অচল, সেটি এখন নেই।

‘আমার মনে হয় ছাত্রদের এক্ষেত্রে বোঝা উচিত, জানা উচিত। রায় যখন নেই তাহলে আন্দোলন করছে কেন? তাদেরও আত্মীয়-স্বজনকে বিভিন্ন কাজে ছুটতে হয়, হাসপাতালে যেতে হয়, চাকরির জন্য বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। রাস্তা বন্ধ করে দিলে কীভাবে চলবে?’

মন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি— এরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, তারা খুবই মেধাবী, এদের চাহিদা আমরা শুনব। কিন্তু শোনারও একটা সীমা বোধহয় থাকে, তারা সেটা অতিক্রম করে যাচ্ছেন। আজ বেশ কয়েকদিন হলো, তারা একই কাজ করছেন। এরই মধ্যে দেখেছেন, প্রধান বিচারপতি একটা নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন যে যে নির্দেশ হাইকোর্ট দিয়েছেন, সেটা স্থগিত। এখন যে মামলা চলছে, সেই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত এটা স্থগিত থাকবে। কাজেই হাইকোর্ট যে নির্দেশনা দিয়েছিল, সেটা অচল, সেটা এখন নেই। এক্ষেত্রে আমার মনে হয়, ছাত্রদের এগুলো বুঝা উচিত যে রায় যখন নেই, তখন আন্দোলন করছেন কেন? আমার মনে হয়, আদালত যে নির্দেশনা দিয়েছেন, সেটা খুবই পরিষ্কার। ছাত্রদেরও অনুরোধ করা হয়েছে, তাদের যদি কিছু বলার থাকে তাহলে আদালত তাদের কথা শুনবেন। তারা যেন আদালতে আসেন।

তিনি বলেন, তারা যেটা চেয়েছিলেন সেই দিকেই যখন যাচ্ছে, তখন রাস্তায় থেকে তাদের কষ্ট করার দরকার নেই। আর আদালত সব ধরনের সুযোগ তাদের জন্য রেখেছেন। তাদের কথা শুনতে চাচ্ছেন আদালত। এখন আমার মনে হয়, রাস্তায় অবস্থান করার কোনো প্রয়োজন নেই।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button